মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকাঃ মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার একাংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফ্লাইওভারের মগবাজারের অংশটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হলি ফ্যামিলি থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে ফ্লাইওভারটি।

৩০ মার্চ (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁও অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর বেইলি রোড অফিসার্স ক্লাবে মূল অনুষ্ঠানে ফ্লাইওভারের এ অংশের উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন শেষ দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় চালকদের দায়ী করার আগে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগে চালককে দোষ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবেচনা করা হয় না কার জন্য দুর্ঘটনা ঘটল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাফিক রুলস সবার জানা উচিত। রাস্তা পারাপারে নিয়ম মানা উচিত। দুর্ঘটনা ঘটলেই আমরা সব সময় গাড়ির চালককে দোষ দিই। কিন্তু কেন দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখি না।’

তিন দফায় এ  প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজের মধ্যেই নকশায় ত্রুটি নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, সমালোচনা।

তারপরও নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকায় বিশাল নির্মাণ কাজের ভোগান্তি আর যানজটের ধকল থেকে রেহাই পেতে নাগরিকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) এলজিআরডি’র প্রকৌশলী নাজমুল আলম বলেন, উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ফ্লাইওভারের প্রথম অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

বাকি কাজের মধ্যে হাতিরঝিল থেকে এফডিসি অংশের  র‌্যাম্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুতই শেষ হবে জানান তিনি।

পুরো প্রকল্পের ৭০ ভাগের মতো কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকৌশলী নাজমুল বলেন, “তিন ধাপে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলামোটর থেকে মৌচাক অংশ আগামী জুনে খুলে দেওয়া হবে। আর বাকি অংশটুকু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে খুলে দেওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ার সমান্তরালে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে সরকার।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ