তনু আমাদেরই সন্তান : সেনাবাহিনী
প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি (৩১ মার্চ ২০১৬),
ঢাকা : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে নিজেদের সন্তান বলে বর্ণনা করেছেন সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় দোষীদের ধরতে সহযোগিতার কথাও জানিয়েছে।
৩০ মার্চ (বুধবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন বিগত ৩০ বছর যাবৎ কুমিল্লা সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন বেসামরিক কর্মচারী, যিনি আমাদের সেনা পরিবারেরই সদস্য এবং তনু কুমিল্লা সেনানিবাসে বড় হয়েছেন। ও আমাদেরই সন্তান। তনুর এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি সেনাসদস্য দারুণভাবে ব্যথিত ও মার্মাহত’
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। খুনিদের ধরতে বিলম্বের জন্য এ ঘটনায় ‘অসাধারণ’ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সেনানিবাস এলাকায় এমন খুনের ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বক্তব্য আশা করা হচ্ছিল।
অবশেষে বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিল আইএসপিআর। বিজ্ঞপ্তিতে, তনুকে নিজেদের সন্তান উল্লেখ করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে ‘জনসাধারণের অংশ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী তদন্ত প্রক্রিয়ায় আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সেনাবাহিনীও প্রত্যাশা করে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।
ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তনুর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তারপরেও কোনো কোনো মহল বিষয়টি নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আইএসপিআর বলছে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রথম থেকেই সকল তদন্তকারী সংস্থাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা আন্তরিকতার সাথে প্রদান করছে। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে অনুমাননির্ভর বক্তব্য প্রদান ও প্রচার করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে সবার ‘দায়িত্বশীল’ বক্তব্য ও প্রচার প্রত্যাশা কওে সেনাবাহিনী।