এ দেশে নাইজেরিয়ানদের নতুন ফাঁদ

 

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : স্পেশালাইজড ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেছেন, বাংলাদেশে বৈধ ও অবৈধভাবে বসবাসকারী নাইজেরিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিক এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে  প্রতারণা করতো। প্রথমে তারা বিভিন্ন পুরষ্কার দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতে। তারা পুরষ্কারের বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে বাংলাদেশি মেয়েদের কন্ঠে বিষয়টি উপাস্থপন করে।

৪ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে ধানমণ্ডির পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন,  প্রতারণার ঘটনায়  পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাইজেরিয়ান মো. আওয়ালু আদামু, অডিবোভাহেমেন জেমস, অলোরুফেমু ডিনেল, মোহাম্মদ আদামু ও এক বাংলাদেশি জয়নব আরা রিয়া। মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শাহ আলীর নবাবেরবাগ এলাকা থেকে ওই ৪ নাইজেরিয়ার নাগরিক ও বাংলাদেশি  এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন, ব্যাংকের চেক ও অ্যাকাউন্টের তথ্য, সিম ও পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তারা জানায়, দেশের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় চক্রটি এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তারা মূলত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গ্রাহকদের পুরস্কারের প্রলোভন দেয়। কোকাকোলা লটারি, ইউনাইটেড ন্যাশন্স পুরস্কার, আইসিসি টুর্নামেন্ট পুরস্কার, ইউএনডিপি পুরস্কার প্রাপ্তিসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ পুরস্কারের বার্তা পাঠায়। সেখানে ইমেইল ঠিকানাও দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রতারণা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে পল্টন থানায় এক ব্যবসায়ী মামলা করেন। মামলা নং ৪১। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, পুরস্কারের কথা বলে তার কাছ থেকে ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮৯ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। আর এ ঘটনায় তাদেরকে আটক করা হয়।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ