দেশে আন্তর্জাতিক মানের বার্ন ও ইনস্টিটিউট হবে
নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায়
৬ এপ্রিল, বুধবার সকালে রাজধানীর চানখারপুলে শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিমতলী ট্রাজেডির পর বার্ন ইন্সস্টিটিউট স্থাপনের বিষয়টি তার মাথায় আসে। এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে অনেক মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় একে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
দেশের আর একটি মানুষও যাতে আগুনে পুড়ে মারা না যায়, সে জন্য পর্যায়ক্রমে দেশের সব মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট চালু করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউটটির নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে। অত্যাধুনিক এ ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের পর এখানে প্রতিদিন গড়ে ৫`শ দগ্ধ রোগী একসঙ্গে চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ইনস্টিটিউট থেকে বছরে ১০-১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করা হবে।
ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে সারাদেশের ১৮টি মেডিকেলের মধ্যে ৯টিতে বার্ন ইউনিটের সুবিধা রয়েছে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিট অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যাতে একটি মানুষও আগুনে পুড়ে মারা না যায়, সে লক্ষ্যেই ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা বড়লোক তারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু দেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।
পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য সব মেডিকেল বার্ন ইউনিট চালু করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে বার্ন ইউনিট ও ইন্সস্টিটিউটের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ থাকবে বলেও জানান তিনি।
দেশের জন্যে যা কলাণকর তা করেই যাব, এমন ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢামেকের পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভেঙ্গে নতুন অত্যাধুনিক ভবন তৈরি করা হবে।