বেগম জিয়া’র বিরুদ্ধে বিচারের জন্য মামলা বদলি
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলা বিচারের জন্য বদলি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু রোববার মামলাটি বদলি আদেশ দিয়ে হাকিম আদালতে নথি পাঠিয়ে দিন। খালেদা জিয়া গত ৫ এপ্রিল এই মামলায় জামিন পেয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার খালেদা জিয়াকে ৩ মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দান করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের কারণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ওইদিন সরকারের অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের এ মামলা দায়ের করেন। গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।” ওই বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে গত ২৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী নেতা মেহেদী। ওই নোটিসে খালেদাকে জাতির কাছে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়ে সাত দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়।
নোটিসের জবাব না পেয়ে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন মেহেদী। এর মন্ত্রণারয় গত ২১ জানুয়ারি মামলা রুজুর অনুমোদন দেয়। দণ্ড বিধির ১২৪ ধারা মতে কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে চাইলে সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
মামলার পরপর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেনের জানান, খালেদার ওই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সংজ্ঞায় পড়ে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনের দিকটি খতিয়ে না দেখে আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ভুল ধারণার ওপর করা হয়েছে এবং সরকারও আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন আইনের বিধান মোতাবেক। এটি সঠিক হয় নাই।
এর আগে একই অভিযোগে খালেদার বিরুদ্ধে মানহানি ও দেশদ্রোহী দায়ের করা মামলায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় তদন্ত চলছে। ওই মামলা দুটোতে তদন্ত শেষ না হতে হতে আবারও একই ঘটনায় সমন জারি করাকে বিএনপির অনেকেই ভিন্ন ভাবে দেখছেন।