ভাতের মাড় দেখে নাক সিটকাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : কাপড় টান টান করতে কম বেশি সবাই ভাতের মাড় ব্যবহার করে থাকি। এই ভাতের মাড় স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা কি আপনি জানেন? ভাতের মাড় থেকে অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ত্বক এবং চুল পরিচর্যায়ও ভাতের মাড়ের ভূমিকা রয়েছে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সাধারণ ভাতের মাড়ের অসাধারণ কিছু গুণাবলী।

শক্তি দেয়: এতে প্রচুর পরিমাণের কার্বোহাইড্রেইট থাকে যা শরীরে এনার্জি প্রদান করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস রাইস ওয়াটার অথবা ভাতের মাড় খেয়ে দিন শুরু করুন। এটি সারাদিনের কাজের এনার্জি দিয়ে থাকবে। ক্লান্তবোধ করলে খেয়ে নিতে পারেন এক গ্লাস ভাতের মাড়। নিমিষেই দূর করে দিবে আপনার সমস্ত ক্লান্তি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: ভাতের মাড়ে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। এটি পেটে উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

ডায়ারিয়া প্রতিরোধে: ডায়রিয়া হলে এক গ্লাস ভাতের মাড় নিয়ে তাতে এক চিমটি লবণ ভালো ভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি খুব দ্রুত ডায়ারিয়া নিরাময় করে থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: অবাক শোনালেও গবেষণায় দেখা গেছে ভাতের মাড় ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা: ওরিযানোল নামক উপাদান ভাতের মাড়ে রয়েছে যা সূর্যের ইউভি রশ্মি প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয় দিক হতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

ত্বকের জন্য: মুখ ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর একটি তুলো ভাতের মাড়ে ভিজিয়ে সমস্ত মুখে টোনারের মত করে লাগিয়ে নিন। এটি ত্বক ময়েশ্চেরাইজার এবং এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে থাকে। যা ত্বকের উপর তামাটে প্রলেপ পড়ার প্রবণতা হ্রাস করে এবং বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে থাকে।

যেভাবে তৈরি করবেন: একটি পাত্রে চাল নিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। ভাল করে কয়েকবার ধুয়ে পানি দিয়ে চুলায় চাল সিদ্ধ করতে দিন। চাল ফুটে আসলে নামিয়ে ফেলুন। তারপর চাল থেকে পানি আলাদা করে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পানিতে কোন চাল যেন থেকে না যায়। পানিটি ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে এটি পান করুন।

 

 

 

সূত্রঃ বিবার্তা

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ