শুধু আওয়ামী লীগের মানবাধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা : শফিক রেহমানকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধীকে গ্রেফতার করায় এখন যেমন সমালোচনা হচ্ছে ঠিক একই কাজ হয়েছিল ৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়।

এসময় আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কেউ মারা গেলে তার কি বিচার চাইবার অধিকার নেই? ষড়যন্ত্র করলে তাদের কিছু করা যাবে না? সবার মানবাধিকার আছে, আমাদের কোনো মানবাধিকার নেই। শুধু আওয়ামী লীগের মানবাধিকার নেই।

১৮ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে অন্যায় দেখি সেখানেই বিচার করি। আমাদের লক্ষ্য ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করা।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অপরাধীকে গ্রেফতার করলেও অপরাধ হয় এখন। যদি অপরাধীকে গ্রেফতার করলেই অপরাধ হয়, তাহলে এদেশে বিচার কী করে হবে? তাহলে দেশে কোনো হত্যার বিচার কী করে হবে? তারা সাংবাদিক দেখলো, অপরাধী দেখলো না।

মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তারপর ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদাররা, গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকে, তার আগে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তার ভাষণের ওপর ভিত্তি করে এবং তার নির্দেশনা মতো এপ্রিলের ১০ তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল সে সরকার শপথ নেয়। এই সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

ব্লগার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তচিন্তার নামে যদি বিকৃত মানসিকতার কথাবার্তা হয় তাহলে সেটা মুক্তচিন্তা নয়। ধর্ম নিয়ে যদি কারো অন্য ভাবনা থাকে তাহলে তার বিচার আল্লাহ করবেন। তাকে হত্যার করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ