বন্ধ হয়ে যাবে কয়েক কোটি সিম

নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকাঃ আর মাত্র আট দিন বাকি। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে অনিবন্ধিত সকল সিম বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

ফলে নির্ধারিত সময়ের পরে বিপুল পরিমাণ মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা কমে যাবে। ব্যবহার থেকে বাদ পড়ে যাবে কয়েক কোটি সিম। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে হবে বঞ্চিত। যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, সরকারী প্রজ্ঞাপনের প্রথম ১২০ দিনে (১৭ এপ্রিল পর্যন্ত) আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে মোট ৬ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার সিম সফলভাবে নিবন্ধিত হয়েছে, যা বর্তমানে চালু থাকা মোট ১৩ কোটি ৮ লাখ সিমের ৪৮ শতাংশ। আর আঙুলের ছাপ না মেলাসহ জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকা, সার্ভারের ত্রুটিসহ বেশ কয়েকটি কারণে নিবন্ধন সফল হয়নি ১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার সিমের। অবশিষ্ট ৫২ শতাংশ সিম নিবন্ধন করতে আগামী ৮ দিনের মধ্যে। যা প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে নানাভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। একজনের আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অন্য জনের সিম নিবন্ধন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এরই মধ্যে। আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে অমিল থাকায় এক কোটিরও বেশি গ্রাহক নিবন্ধন করতে গিয়েও ফিরে এসেছেন।

এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল সিমের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে না বলে মনে করছেন মোবাইল অপারেটর, রিটেইলার এমনকি খোদ বিটিআরসির (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা) সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই কমতে শুরু করেছে সক্রিয় থাকা মোবাইল সংযোগের (সিম) সংখ্যা। গত তিন মাসেই ২৮ লাখেরও বেশি গ্রাহক হারিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো। রেজিস্ট্রেশনে ঝুঁকি বিবেচনা, অনীহা এবং মিল না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৩ থেকে ৪ কোটি সিম। নিবন্ধন করতে গিয়েও আঙুলের ছাপসহ তথ্যে অমিল থাকায় নিবন্ধন হয়নি ১ কোটি ৬ লাখ সিমের।

ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সিম নিবন্ধন শেষ হলে মোবাইল গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৭ লাখ থেকে ৮ থেকে ৯ কোটির মধ্যে চলে আসতে পারে। এতো বিপুল সংখ্যক সিম বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে মোবাইল অপারেটরদের আয় এবং সরকারের রাজস্বে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ