একনেকে ৯ প্রকল্পে ৪৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার অনুমোদন
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগসহ ৪৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকার ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
৩ মে (মঙ্গলবার) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রলালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ. ফ. ম. মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পে ঢাকা-গেন্ডারিয়া সেকশনে ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭২ কিলোমিটার নতুন মেইন লাইন নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ঢাকা-যশোরের দুরত্ব কমবে ১৮৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটার, ঢাকা-খুলনা ২১২ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার ও ঢাকা-দর্শনা ৪৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার জি-টু-জি পদ্ধতিতে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং বাকী ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা স্টেশন হতে শুরু হয়ে গেন্ডারিয়া- মাওয়া-পদ্মা সেতু (নির্মাণাধীন) ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত সংযুক্ত করবে এবং ভাঙ্গা জংশন হতে কাশিয়ানী জংশন স্টেশন হয়ে পদ্মাবিলা জংশন হয়ে বিদ্যমান রুপদিয়া এবং সিঙ্গিয়া স্টেশনকে সংযুক্ত করবে।নতুন রেলপথ দিয়ে যাতায়াতে রাজধানী থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এ রেলপথ দিয়ে খুলনায় যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা।
অনুমোদন দেওয়া অপর প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবু বাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর ভাংগা অংশে ধীর গতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ৪ লেনে উন্নয়ন প্রকল্প। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। জাতীয় মহাসড়কের মাগুরা শহর অংশের রাম নগর মোড় হতে আবালপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প। যার ব্যয় ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
উপকূলীয় ও ঘূর্নিঝড়প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রাণীরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), যার ব্যয় ৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্প। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বেতারের মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র ১ হাজার কিলোওয়াট মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এসব প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৪ হাজার ১৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন হবে ১৯ হাজার ২৬৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সংস্থার নিজস্ব তহবিল হবে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। প্রকল্পগুলোতে বিদেশী সাহায্য ২৪ হাজার ৭ শত ৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।