সরকারি কর্মকর্তারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন : বেগম জিয়া
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ ক্ষমতাসীনদের অন্যায় আবদার রক্ষা না করলে সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, মাঠ প্রশাসন পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
১২ মে (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এই এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বেগম জিয়া ফেনীর পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম রকিব হায়দারের ওপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বেগম জিয়ার অন্যতম নির্বাচনী এলাকা ফেনীর পরশুরামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবাধে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন এখন কতটা অসম্ভব ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এই ঘটনা তার এক জ্বলন্ত প্রমাণ। সারা দেশে এই ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে।
বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, অন্যায় আবদার রক্ষা, বেআইনি নির্দেশ পালন এবং বিধিবহির্ভূত সম্মান ও সুযোগ দিতে অস্বীকার করলেই রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হেনস্তা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন।
বেগম জিয়া আরো বলেন, আইনের শাসনকে পদদলিত করে দেশে পেশিশক্তি-নির্ভর এক বর্বর আওয়ামী দুঃশাসন চাপিয়ে দেওয়ার বেপরোয়া ও ধারাবাহিক অপপ্রয়াসে সচেতন নাগরিক সমাজ আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, শাসকদের সরাসরি মদদ ও আশকারায় তাদের চ্যালা চামুণ্ডারা দেশজুড়ে উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। নির্লজ্জ দলীয়করণ ও যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের আইনসম্মত পন্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার কোনো অবকাশ এরা রাখেনি। তারপরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রশাসন, পুলিশ, সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর দৈহিক হামলা ও সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।