জোকোভিচ-মারের শিরোপা লড়াই
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ এক বছর পর আবার বৃটিশদের সামনে উইম্বলডনে আক্ষেপ ঘোচানোর হাতছানি। রোববার ফাইনালে তাদের ‘প্রিয়’ অ্যান্ডি মারের প্রতিপক্ষ শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ।
টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্ট উইম্বলডনের পুরুষ এককে বৃটিশদের সর্বশেষ শিরোপা এসেছিল ১৯৩৬ সালে, ফ্রেড পেরির হাত ধরে। তার পর থেকে ঘরের মাঠের উইম্বলডন মানেই বৃটিশদের জন্য হতাশার দীর্ঘশ্বাস।
হতাশার কালো মেঘ কেটে অবশেষে আশার আলো জ্বলেছিল গত বছর। কিন্তু ফাইনালে রজার ফেদেরারের কাছে মারের পরাজয়ে আবার দুঃখভারাক্রান্ত টেনিসপ্রেমী বৃটিশরা।
উইম্বলডনে ব্যর্থ হলেও তার কয়েক সপ্তাহ পর সেই অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টেই স্বদেশের মানুষকে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন মারে। লন্ডন অলিম্পিকে সোনা জয়ের পথে সেমিফাইনালে জোকোভিচ ও ফাইনালে ফেদেরারকে হারান তিনি। এরপর ইউএস ওপেনের ফাইনালে জোকোভিচকে হারিয়েই ৭৬ বছর পর বৃটিশদের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাও উপহার দেন মারে।
আবার সেন্টার কোর্টের ফাইনালে মারেকে পেয়ে গোটা যুক্তরাজ্য তাই শিরোপা-স্বপ্নে বিভোর। তবে দেশের মানুষের প্রত্যাশার চাপে দ্বিতীয় বাছাই মারে কিছুটা যেন ভীত। তিনি বলেন, “রোববার সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে আমি হয়তো অবিশ্বাস্য রকম স্নায়ুর চাপে ভুগবো। হয়তো এমন স্নায়ুর চাপে আগে কখনো ভুগিনি। তবে আমি আশা করবো তেমনটা হবে না।”
মারের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে জোকোভিচ ১১-৭ ব্যবধানে এগিয়ে। দুই বছর আগে রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উইম্বলডনে সাফল্যের হারেও মারের চেয়ে এগিয়ে সার্বিয়ান তারকা।
গ্র্যান্ড স্লামে মারের একমাত্র শিরোপার বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হ্যাটট্রিকসহ ছয়টি শিরোপাও জোকোভিচের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী তথ্য। তবে শুধু মারে নয়, র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়কে লড়তে হবে সেন্টার কোর্টের গ্যালারি ভরা দর্শকের সঙ্গেও।
জোকোভিচ অবশ্য এ নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “সে (মারে) স্থানীয় মানুষের নায়ক। দীর্ঘ দিন পর দেশের জন্য উইম্বলডন জয়ের দারুণ সুযোগ তার সামনে। সবাই তাকে সমর্থন দেবে।”
“আমি অবশ্য এই প্রথম এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি না। স্থানীয় খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আমি আগেও অনেকবার খেলেছি। কী করতে হবে আমি তা জানি। আমি এর জন্য প্রস্তুত।”