অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে বেজা
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ আরও বেশি দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, নতুন চাকুরি সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রক্রিয়া জোরদার করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত দুইবছরে বেজা এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে এবং ৩৩টি জায়গায় সমীক্ষা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন অঞ্চলগুলোর জন্য গ্রহন করা হয়েছে মহাপরিকল্পনা।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ১১টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বেসরকারি জোন ডেভেলপারদের অনুমোদন দিয়েছে বেজা। এছাড়াও মিরসরাই এবং অন্যান্য জায়গায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যপারে দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সংস্থাটি ১২টি জায়গায় সমীক্ষা চালিয়েছে এবং নির্মিতব্য আরও ৯টির অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য খসড়া তৈরি করেছে। নতুন বেজা আইন অনুমোদন করা হয়েছে এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল নীতিমালার জন্য গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাজ্যের ডিএফআইডি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ‘প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট’ (পিএসডিএসপি)-এর আওতায় সরকারকে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্ক উন্নয়নে সহায়তা করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে এই প্রকল্প।
বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যবসা নিবন্ধনের সময়সীমা ৪৪দিন থেকে ৮ দিনে কমিয়ে আনা হয়েছে। পিএসডিএসপি- প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরন অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ‘গ্রিন জোন’ উদ্যোগে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড¬-এ সৌর বিদ্যুৎ, একটি পরিবেশ গবেষনাগার এবং ২১টি প্রতিষ্ঠানকে আইএসও-১৪০০১ সদন প্রদান।
অন্যদিকে, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক-এর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুইটি বেসরকারি হাইটেক পার্ককে এবং অপর ৭টি হাইটেক পার্ককে অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত দুইটি পিপিপি পার্ককে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘পিএসডিএসপি’-এর জন্য অতিরিক্ত ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে। এর আওতায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অর্জন এবং গুনগতমান, সামাজিক ও পরিবেশগত মানের প্রতি বিশেষ গূরুত্ব দেওয়া হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আগামি ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।