কঠিন পরীক্ষায় সাকিব-মুস্তাফিজ
ক্রিয়া ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: শেষ ম্যাচে ইডেন গার্ডেনে কেকেআরের কাছে হেরে নিজেদের সঙ্গে শাহরুখ খানের দলকেও শেষ চারে তুলে নিল সানরাইজার্স। মুস্তাফিজদের হায়দরাবাদ আর সাকিবদের কলকাতার কেউউ ধারাবাহিকতা রাখতে না পারায় তাদেরকে এখন এলিমেনেটরি পর্বে খেলতে হবে। অর্থাৎ হারলেই বাদ। জিতলে ফাইনালে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে।
আগামী ২৫ মে আইপিএলের এলিমেনেটর পর্বে মুখোমুখি হবে দল দুটি। প্রশ্ন হচ্ছে, কে যাবে ফাইনালে পথে, সাকিব না মুস্তাফিজ? বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মধুর সমস্যায় পড়ে গেছে অনেক দর্শক। সাকিব না মুস্তাফিজ, কাকে সমর্থন জানাবে সবাই। তবে বয়সে তরুণ আর বিস্ময়কর পেস কাটারের বদৌলতে এবার মুস্তাফিজের সমর্থনের পাল্লা যে ভারী।
কিন্তু আইপিএলের পরিসংখ্যানে কলকাতার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের অবস্থা নাজুক। চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। দুবারই জিতেছে কলকাতা, হেরেছে মুস্তাফিজ শিবির। বুধবার সাকিবদের বিরুদ্ধে কি ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ?
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ শেষে এবার তাই হিসাব-নিকাশের পালা। কে কার মুখোমুখি শেষ চারে? কে উঠছে ফাইনালে? এখন এ হিসাবই চলছে আইপিএলে। পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী শেষ চার নিশ্চিত করেছে যথাক্রমে গুজরাট লায়ন্স, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলে শেষ চার মানে সেমিফাইনাল নয়। কোয়ালিফায়ার এবং ইলিমিনেটর। দুটি কোয়ালিফায়ার এবং একটি ইলিমিনেটর। শীর্ষে থাকা দুটি দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল বিদায় নেবে না। সুযোগ পাবে আরও একটি।
গ্রুপ পর্বে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা সানরাইজার্স হায়াদারাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হবে ইলিমিনেটর রাউন্ডে। অথ্যাৎ প্লে-অফে আবারও মুখোমুখি হচ্ছেন সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। যেটাকে বলা যায় নকআউট পর্ব। কারণ হারলেই বিদায়। জয়-পরাজয় তো থাকবেই। সে হিসেবে ফাইনালে ওঠার আগেই বিদায় নিতে হবে সাকিব আল হাসানের কেকেআর কিংবা মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে।
এই দুই দলের যে জিতবে, তার আবার ফাইনাল নিশ্চিত হবে না সরাসরি। গুজরাট এবং আরসিবির মধ্যে পরাজিত দলের মুখোমুখি হতে হবে তাদেরকে, ফাইনালে ওঠার জন্য। সুতরাং, ইলিমিনেটর রাউন্ড থেকে কে বিদায় নেবে? সাকিব না মুস্তাফিজ?
পরিসংখ্যান কিন্তু সাকিব আল হাসানের কেকেআরের পক্ষেই কথা বলছে। কারণ, গ্রুপ পর্বে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল দল দু’টি। প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠেই শাহরুখ খানের দলের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়েছিল মুস্তাফিজের সানরাইজার্সকে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের একেবারে শেষ ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। এই ম্যাচের একদিন আগেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই ছিল সানরাইজার্স। কেকেআরকে হারাতে পারলে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে উঠতে পারবে তারা; কিন্তু সাকিব আল হাসানদের কাছে আবারও হারলো মুস্তাফিজরা। এবার পরাজয়ের ব্যবধান ২২ রানে।
তবে টি-টোয়েন্টিতে কখনও পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা যায় না। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টসও একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকতে হলে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগবে। তারওপর, ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই যে যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে, জয় তার অবধারিত। দিনটা হতে পারে সানরাইজার্সেরও। হতে পারে কেকেআরেরও। আগামী ২৯ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ।
ক্রিয়া ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: শেষ ম্যাচে ইডেন গার্ডেনে কেকেআরের কাছে হেরে নিজেদের সঙ্গে শাহরুখ খানের দলকেও শেষ চারে তুলে নিল সানরাইজার্স। মুস্তাফিজদের হায়দরাবাদ আর সাকিবদের কলকাতার কেউউ ধারাবাহিকতা রাখতে না পারায় তাদেরকে এখন এলিমেনেটরি পর্বে খেলতে হবে। অর্থাৎ হারলেই বাদ। জিতলে ফাইনালে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে।
আগামী ২৫ মে আইপিএলের এলিমেনেটর পর্বে মুখোমুখি হবে দল দুটি। প্রশ্ন হচ্ছে, কে যাবে ফাইনালে পথে, সাকিব না মুস্তাফিজ? বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মধুর সমস্যায় পড়ে গেছে অনেক দর্শক। সাকিব না মুস্তাফিজ, কাকে সমর্থন জানাবে সবাই। তবে বয়সে তরুণ আর বিস্ময়কর পেস কাটারের বদৌলতে এবার মুস্তাফিজের সমর্থনের পাল্লা যে ভারী।
কিন্তু আইপিএলের পরিসংখ্যানে কলকাতার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের অবস্থা নাজুক। চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। দুবারই জিতেছে কলকাতা, হেরেছে মুস্তাফিজ শিবির। বুধবার সাকিবদের বিরুদ্ধে কি ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ?
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ শেষে এবার তাই হিসাব-নিকাশের পালা। কে কার মুখোমুখি শেষ চারে? কে উঠছে ফাইনালে? এখন এ হিসাবই চলছে আইপিএলে। পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী শেষ চার নিশ্চিত করেছে যথাক্রমে গুজরাট লায়ন্স, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলে শেষ চার মানে সেমিফাইনাল নয়। কোয়ালিফায়ার এবং ইলিমিনেটর। দুটি কোয়ালিফায়ার এবং একটি ইলিমিনেটর। শীর্ষে থাকা দুটি দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল বিদায় নেবে না। সুযোগ পাবে আরও একটি।
গ্রুপ পর্বে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা সানরাইজার্স হায়াদারাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হবে ইলিমিনেটর রাউন্ডে। অথ্যাৎ প্লে-অফে আবারও মুখোমুখি হচ্ছেন সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান। যেটাকে বলা যায় নকআউট পর্ব। কারণ হারলেই বিদায়। জয়-পরাজয় তো থাকবেই। সে হিসেবে ফাইনালে ওঠার আগেই বিদায় নিতে হবে সাকিব আল হাসানের কেকেআর কিংবা মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে।
এই দুই দলের যে জিতবে, তার আবার ফাইনাল নিশ্চিত হবে না সরাসরি। গুজরাট এবং আরসিবির মধ্যে পরাজিত দলের মুখোমুখি হতে হবে তাদেরকে, ফাইনালে ওঠার জন্য। সুতরাং, ইলিমিনেটর রাউন্ড থেকে কে বিদায় নেবে? সাকিব না মুস্তাফিজ?
পরিসংখ্যান কিন্তু সাকিব আল হাসানের কেকেআরের পক্ষেই কথা বলছে। কারণ, গ্রুপ পর্বে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল দল দু’টি। প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠেই শাহরুখ খানের দলের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়েছিল মুস্তাফিজের সানরাইজার্সকে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের একেবারে শেষ ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। এই ম্যাচের একদিন আগেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই ছিল সানরাইজার্স। কেকেআরকে হারাতে পারলে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে উঠতে পারবে তারা; কিন্তু সাকিব আল হাসানদের কাছে আবারও হারলো মুস্তাফিজরা। এবার পরাজয়ের ব্যবধান ২২ রানে।
তবে টি-টোয়েন্টিতে কখনও পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা যায় না। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টসও একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকতে হলে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগবে। তারওপর, ব্যাটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই যে যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে, জয় তার অবধারিত। দিনটা হতে পারে সানরাইজার্সেরও। হতে পারে কেকেআরেরও। আগামী ২৯ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ।