‘২০৪০ সালের আগেই তামাক ব্যবহার নির্মূল হবে’
মনির হোসেন, বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার নির্মূল করা হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ।
২৯ মে (রবিবার) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৬ প্রদান এবং বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল অর্থাৎ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং অ্যান্টি টোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় হার্ট ফাউডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডসের কনসালটেন্ট শরিফুল আলম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের, অ্যান্টি টোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সে আহ্বায়ক মরতুজা হায়দার লিটন প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তামাকের ব্যবহার মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এর প্রকোপ অনেক বেশি। বিশ্বের মোট ১ দশমিক ১ বিলিয়ন সংখ্যা, ৩৪.৮ ভাগ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ তামাক সেবনকারী আমাদের অঞ্চলেই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসডিজি পূরণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। আমরা অতি-দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। শহর এবং গ্রামীণ উভয় অঞ্চলেই আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পানি সরবরাহ এবং পয়োনিষ্কাশন সেবার মতো মৌলিক বিষয়ে অধিকতর সুবিধা নিশ্চিত করেছি। তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করব।
নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক-কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্ক-নীতি গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন যাতে তামাকজাত পণ্যের ক্রয়-ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং একই সাথে সরকারের শুল্ক আয় বৃদ্ধি পায়।
অনুষ্ঠানে প্রিন্ট, অনলাইন এবং টিভির আটজন সাংবাদিককে প্রজ্ঞা তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৬ প্রদান করা হয়। এদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মোজাম্মেল হোসেন সব ধরনের তামাকের ওপর কর বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, তামাক পণ্যে কর বাড়ানো হলে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে আসার পাশাপাশি সরকারের বাড়তি ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। একটি মাত্র পণ্য যা তামাকের মূল্য বাড়ালেই মানুষ এবং সরকারের লাভ।