ডিএনএ প্রতিবেদন ময়নাতদন্তকারীদের দেওয়ার নির্দেশ

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা: বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দাঁত ও সোয়াব পরীক্ষার ডিএনএ প্রতিবেদন তাঁর দ্বিতীয়ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে সরবরাহ করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের(সিআইডি) প্রধান ডিএনএ অ্যানালিস্ট নাসিমা বেগমকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোস্তাইন বিল্লাহ ২৫ মে তনুর ডিএনএ প্রতিবেদন দিতে সিআইডির প্রধান ডিএনএ অ্যানালিস্টকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশনার অনুলিপি দেওয়া হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে।

এ প্রসঙ্গে গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবে কাজ হচ্ছে।’

সিআইডি সূত্র জানায়, গত ২১ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি ধর্ষণের আলামতও পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়।

এ সময় তনুর চারটি দাঁতসহ ভেজাইনাল সোয়াব নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। একই ডিএনএ ল্যাবরেটরি সিআইডিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

এরপর তনুর লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা গত ১৬ এপ্রিল ডিএনএ প্রতিবেদন চেয়ে ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডিএনএ অ্যানালিস্টের কাছে চিঠি দেন।

ওই চিঠির জবাবে ২১ এপ্রিল সিআইডির প্রধান ডিএনএ অ্যানালিস্ট নাসিমা বেগম বলেন, মামলার তদন্ত কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কাউকে ডিএনএ প্রতিবেদন দেওয়ার সুযোগ নেই। পরে ২ মে কামদা প্রসাদ সাহা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের কাছে ডিএনএ প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেন।

৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এখনো ডিএনএ প্রতিবেদন আসেনি। তার ওপর আদালতের অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রতিবেদন দেওয়া যাবে না। এরপর ১৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দেন চিকিৎসক কামদা প্রসাদ সাহা।

১৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত বোর্ডের প্রধানকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ডিএনএ প্রতিবেদন সরবরাহ করা যাবে না।’ একই সঙ্গে তিনি আদালতেও বিষয়টি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই নির্দেশ দেন।

গত ২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়া যায়। তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন ২১ মার্চ বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ