তথ্য ছাড়া কথা বলি না : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : যারা প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মেরেছে, তারাই আজ আবার দেশে গুপ্ত হত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ফের জোর দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ কথা তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বলছেন বলে জানিয়েছেন তিনি

৮ জুন (বুধবার) দুপুরে সৌদি আরব, জাপান ও বুলগেরিয়া সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গুপ্ত হত্যা আর পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে একসূত্রে গাঁথা বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে সমালোচনা রয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে এমন প্রসঙ্গ উঠে এলে তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র রয়েছে। কারা জঙ্গিদের দিয়ে মিছিল করিয়েছে, সেটা দেশবাসী ভুলে যায়নি।এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট, আমি তথ্য ছাড়া কথা বলি না। সব তথ্য হয়তো তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু আমি অমূলক কথা বলি না।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল গুপ্ত হত্যার প্রক্রিয়া একই রকম। যারা এই ধরনের হত্যা করে, যারা এর মূলে তাদের লক্ষ্য সকলের জানা। এরাই প্রকাশ্য দিবালোকে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে, এরাই এখন কৌশল পাল্টে গুপ্ত হত্যা করছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা আর অগ্রযাত্রা ব্যহত করাই এদের উদ্দেশ্য।যারা প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করতে পারে, পুড়িয়ে মারতে পারা তারা এই গুপ্ত হত্যার সঙ্গে জড়িত হবে না, সে ভাবনা কি করে আসে? প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা এই বক্তব্যে রাজনীতি খোঁজেন আর দেশের জঙ্গির উপস্থিতি দেখতে পান, তারাইতো তাহলে সে তথ্য দিতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই কাউকে আটক করি আর তার পরিচয়ের সূত্র ধরেই পুড়িয়ে মারা রাজনীতির সঙ্গে যোগসাজশ খুঁজে পাই। ফলে আমার কথাকে রাজনৈতিক বক্তব্য বলার কোনও কারণ নেই।যারা ওই দুটি রাজনৈতিক দলকে বাঁচাতে চায় তারাই এ ধরনের কথা বলে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, তবে সরকার বসে নেই। আমাদের যা করণীয় আমরা তার সবটাই করছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

গোপন হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত এক সাংবাদিককে গ্রেফতারে একটি পক্ষের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলেন। আবার কেউ যখন হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকে, তাকে গ্রেফতার করলে আপনারা সমালোচনা শুরু করেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে জড়িত এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের পর আপনারা কথা শুরু করলেন। তাহলে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না? হত্যাকারীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীরও সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, জনগণের প্রতিরোধেই আগুনে পুড়িয়ে মারা কমেছে, জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই আপনার সতর্ক থাকলে গুপ্ত হত্যাকারীদেরও ধরা সম্ভব হবে। শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে কখনোই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী তার তিন দেশ সফর নিয়ে বলেন, পর পর তিনটি সফর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটি সফরে বাংলাদেশের অনেক অর্জন আছে। এই তিনটি সফরে যেসব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সেই বিশ্বনেতাদের সবাই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের অবাক করেছে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে থাকাটা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ