বাকেরগঞ্জে কুপিয়ে ও মুন্সীগঞ্জে গুলি করে হত্যা

স্থানীয় প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : মুন্সীগঞ্জ শহরের পাঁচঘরিয়াকান্দিতে  দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরদা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মহিউদ্দিন হাওলাদার (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

১১ জুন  (শনিবার) রাতেই এ হত্যাকান্ড গুলোর ঘটনা ঘটে।

নিহত মহিউদ্দিনের বাড়ি ছয় নম্বর ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুরা গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম।

নিহত ব্যক্তির ভাই শাহজালাল জানান, বিকেল ৩টার দিকে মহিউদ্দিন বাড়িতে আসছিলেন। পথে কাকরদা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মামুন, শওকত, বশির খানসহ বেশ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানয়ীদের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মামুনর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডা. মামুনর রশিদ জানান, পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে জখম করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের পাঁচঘরিয়াকান্দিতে  দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। নিহত মো. জনির (১৭) পেটে গুলি বিদ্ধ হয়েছে। সে ফার্নিচারের কর্মচারী। গুলিবিদ্ধ মানিক সরকার (৩০) ও কালু ব্যাপারীকে (৩১) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ মো. অপু নামে একজনকে(৪০) তিনটি বিদেশী পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন এবং ২২ রাউন্ড তাজাগুলিসহ গ্রেফতার করেছে । এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তাৎক্ষনিক অস্ত্রসস্ত্রসহ এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অন্য অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জ পৌর সভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিগত পৌর নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল গ্রুপের সঙ্গে বিজয়ী কাউন্সিলর জাকির হোসেন গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে সংঘর্ষটি হয়। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। বাবুল গ্রুপের লোকজন আকস্মিক গুলি বর্ষণ করে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল কুমার বসাক জানান, নিহত জনির কিডনি বরাবর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। পায়ে গুলিবিদ্ধ বাকী দুজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ