‘মুসলিমদের খারাপ না বলে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে শনিবার মধ্যরাতে একটি নৈশক্লাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর সোমবার এ কথা বলেন হিলারি।
নৈশক্লাবটিতে হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় হামলাকারী ওমর সিদ্দিকী মতিন।
আফগান বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিবাসীর সন্তান ২৯ বছর বয়সী মতিনের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তিনি ফ্লোরিডায় থাকতেন।
হামলার পর রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মসজিদগুলোর উপর নজরদারি করার আহ্বান জানান।
গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলন।
ফ্লোরিডায় বন্দুক হামলার পর আবারো ওই প্রস্তাব দেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি বলেন, “পক্ষাবলম্বন নয় বরং রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিন।”
বন্দুকধারীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়ে হিলারি আরো বলেন, ইন্টারনেটে নজরদারি আরো বাড়াতে হবে।
আমেরিকান মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষায় তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও জানান হিলারি।
টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসি নেটওয়ার্কে হিলারি বলেন, “আমরা একটি ধর্মকে সার্বিকভাবে খারাপ বলে এবং গলাবাজির মাধ্যমে সমর্থন আদায় করে ওই ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারি না। সেটা খুবই ভয়ঙ্কর হবে।”
বরং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে তারা যেন আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে সিএনএন এ এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, অরল্যান্ডোর নৈশক্লাবে হামলার মত ঘটনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের আরো ভালভাবে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমাদেরকে মসজিদগুলোর উপর নজর রাখতে হবে এবং আমাদের (মুসলিম) সম্প্রদায়ের উপরও নজর রাখতে হবে।”
“এবং বিশ্বাস করুন, কারা সম্ভাব্য আত্মঘাতী হামলাকারী সে বিষেয় সম্প্রদায়ের লোকজন ওয়াকিবহাল।”
তিনি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন।