সম্প্রতি বাংলাদেশের হত্যাকান্ডে  জাতিসংঘের উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
তাই সম্প্রতি বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায়’ আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল হোসেইন।

১৩ জুন (সোমবার) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে মুক্তমনা, উদার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও এলজিবিটি অধিকারকর্মীদের নৃশংস কায়দায় হত্যার ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন।”

স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দনীয় এসব হামলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের আরও সক্রিয়তার উপর জোর দেন জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান।

জাতিসংঘের জেনেভা অফিসের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের এই উদ্বেগজনক ধারার বিষয়ে কথা বলেন হাই কমিশনার জাইদ রাদ।

বাংলাদেশে গত দুই বছরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক, ব্লগার, প্রকাশকরা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাবলম্বীরাও হয়েছেন জঙ্গি কায়দায় হামলার শিকার।

কখনও মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদল আইএস, আবার কখনও আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) নামে দায় স্বীকারের খবর এসেছে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের পর।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে ওই দাবি নাকচ করে বরাবরই বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বাইরের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই; ‘দেশে জন্ম নেওয়া জঙ্গিরা’ এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে একই কায়দায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

এই সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল হোসেইন বলেন, “মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে এসব জঘন্য অপরাধের তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ