সংসদে নেভি (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ সংসদে আজ নেভি (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস করা হয়েছে। সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। কয়েকজন সদস্য বিলটির ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনীর কয়েকটি প্রস্তাব দিলে সেগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
১৪ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই বিলটি পাস করা হয়। বিলে নেভি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-১৯৭৬, নেভি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-১৯৭৭, নেভি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-১৯৮৬ এই ৩টি অধ্যাদেশকে সমন্বিত করে প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বিলে এ উল্লেখিত অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারাকে যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. নূরুল ইসলাম ওমর, কাজী ফিরোজ রশীদ, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম নূর-ই- হাসনা লিলি চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল মতিন ও রুস্তম আলী ফরাজী বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আানলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ কার্যকর হওয়ার ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহ এবং ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহের কার্যকারিতা হারায়। কিন্তু যেহেতু সরকার অধ্যাদেশসমুহের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে স্টেক হোল্ডার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তর মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নতুন আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাই বিলুপ্ত ও কার্যকারিতা হারানো দ্যা নেভি (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট ১৯৭৬, দ্যা নেভি (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট ১৯৭৭ ও দ্যা নেভি (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট ১৯৮৬ -অধ্যাদেশ তিনটি সমন্বয় করে বিদ্যমান মূল অধ্যাদেশ দ্যা নেভি (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট ১৯৬১-আলোকে এ নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে পরে কার্যকারিতা হারানো অধ্যাদেশ তিনটির স্থলে নতুন আইনের খসড়া বিল মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। তারপর বিলটি গত ২৬ এপ্রিল সংসদে উত্থাপিত হয় এবং মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিলটি সংসদ পাস করে।