ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবো : প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের লোকসভার সদস্য ও দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি।
১৮ জুন (শনিবার) জাতীয় সংসদ ভবনে এই সাক্ষাৎ হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য এই অঞ্চলের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ও প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো তাদের মধ্যেকার বিদ্যমান সুসম্পর্কের উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক উন্নয়ন সাধন করতে পারে। একই সঙ্গে কানেকটিভিটির উন্নয়ন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।’
বাংলাদেশ-ভূটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) মোটরযান চলাচল চুক্তি’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই চুক্তির ফলে চুক্তির অন্তর্গত এই অঞ্চলের পারস্পরিকভাবে নির্ভরশীল চারটি দেশই বিভিন্নভাবে লাভবান হবে।
সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য কাউকেই বাংলাদেশের ভূখন্ডকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে না।’
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের বিয়োগান্তক অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই কাল রাত্রিতে জাতির পিতাকে তাঁর পরিবার-পরিজন এমনকি পরিবারের নারী ও শিশুসহ নির্মম নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
নিজেকে একজন ভূক্তভোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কেউ কেউ এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে কথা বলে না । পক্ষান্তরে, তাদের খুনীদের পক্ষ নিতেও দেখা যায়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার এবং জনগণের মহান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কখনও তাদের এই সহযোগিতার কথা ভুলে যাবে না।
ভারতের জনতা বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসে উল্লেখ করে অভিজিত মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান ভারতীয়দের হৃদয়ে। তিনি বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শুভ কামনাও জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়া জোরদার করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং যোগাযোগ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
এসময় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহজাবিন খালেদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রণবপুত্র অভিজিৎ বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করে বলেন এবং বাংলাদেশের স্থান ভারতের জনগণের হ্নদয়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।