জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ

বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : “বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে, সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।”এবং সৌদিসহ “প্রায় ৪০টা দেশ এর বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
২২ জুন (বুধবার) সকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিজের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওআইসিতে যতবার আমি গেছি, এ প্রশ্নটা আমি তুলেছি। ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে যখনই দেখা হয়েছে, আমি এ কথাটা বলেছি।”
 
এরআগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
 
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখতেই সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ৪০টা দেশ এ জোটে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
 
“জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যে যা যা করণীয় সেটা বাংলাদেশ করবে; এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
 
বাংলাদেশের এই অবস্থান সবার কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা আমি সকল মুসলিম দেশকে জানিয়েছি। সৌদি বাদশাহকেও জানিয়েছি। ওআইসিকেও জানিয়েছি। আজকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, সেটা যেন আর না ঘটে।”
এদিকে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, সাবেক ধর্মমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে তাকে দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন কি না?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম অনেক অপরাধী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে এবং বাংলাদেশ সব সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, ওয়ারেন্ট রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা দেওয়া এটা বাংলাদেশের কর্তব্য। যে ভদ্রলোকের নাম উনি বললেন নিশ্চই এব্যপারে খোঁজ নেওয়া হবে কোথায় আছে। আমাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে যাতে, এ আসামিকে ধরে নিয়ে এসে সাজা দেওয়া যায়।
 
প্রশ্নোত্তর পর্বে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশে আর্থ সমাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদন বৃদ্ধি এসব লক্ষ্য নিয়েই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে দেশে আসে সেজন্যে আমরা বিশেষ সুবিধাগুলো দিয়ে যাচ্ছি।” বিদেশি বিনিয়োগ ২০১৪ সালের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি তথ্যও সংসদে তুলে ধরেন তিনি।
 
স্থানীয় নির্বাচনে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণকে মাইলফলক অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ