উত্তেজনাপূর্ণ জয় ভারতের
ক্রিয়া ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ শেষ ওভারের শেষ বলে ধোনির বুদ্ধির কাছে হার মানলেন চিগুম্বুরা, সেইসঙ্গে পরাজিত হলো জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো ধোনির তরুণ দল।
২২ জুন (বুধবার) হারারেতে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ছিলো ২১ রান। ক্রিজে আছেন সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা আর মারুমা। বোলিংয়ে বারিন্দার স্রান। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিলেন মারুমা। পরের বলে ওয়াইড এবং তার পরের বলে ‘নো’সহ ৪ রান দিয়ে সেই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেন স্রান।
স্বাগতিকদের তখন ৫ বলে ৯ রান দরকার জয়ের জন্য, যা একরকম সহজ কাজ। কিন্তু এর পরের দু’টি বল ডট দিলে সেই সমীকরণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩ বলে ৯ রান।
তখন অভিজ্ঞ চিগুম্বুরা গিয়ে মারুমাকে কিছু পরামর্শ দিলে পরের বলে তিনি সিঙ্গেল নেন। জিম্বাবুয়ের তখন প্রয়োজন ২ বলে ৮ রান। ওই সময় স্রানের পঞ্চম বলটিকে বাউন্ডারিতে পাঠালেন চিগুম্বুরা। শেষ বলে যে কোন বাউন্ডারি হাঁকালেই জয় পাবে জিম্বাবুয়ে কিন্তু ওই বলে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন চিগু।
সেইসঙ্গে হারতে হারতেই ৩ রানের জয় পেলো ধোনি বাহিনী।
এর আগে হারারে স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কেদার যাদবের ফিফটিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দেয় ধোনির দল। স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত। দলের পক্ষে কেদার যাদব সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। এরপর যাদব ক্রিজে এসে লড়াকু ইনিংস খেলে ফিফটি আদায় করে নেন। তিনি ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই তেমন সুবিধা করতে পারেনি এদিন।
লোকেশ রাহুল ২২, রায়ডু ২০ ও অক্সার প্যাটেল ২০ রান করেন।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে ত্রিপানো ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন।
জবাবে জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে ভারতের তরুণ বোলারদের টাইট বোলিংয়ে শুরুতেই চিবাবাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর সিবান্দা-মাসাকাদজা মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। মাসাকাদজা ১৫ রান করে আউট হলেও সিবান্দা করেন ২৮ রান। এছাড়া পিটার মুর করেন ২৬ রান। আর শেষ দিকে মারুমা দুই ছয়ে ২৩ রান এবং চিগুম্বুরা ১৬ রান করেন।
ভারতের বোলারদের মধ্যে স্রান ও কুলকার্নি ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হন কেদার যাদব। আর দুই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন ম্যাচ জয়ী বারিন্দার স্রান।