যুদ্ধাপরাধীদের নামে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল: গণপূর্তমন্ত্রী

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের (যুদ্ধাপরাধ) দায়ে অভিযুক্তদের নামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।

১৩ জুলাই (বুধবার) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রাজউকের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের রাজউকের বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করা হয়েছে। এসব প্লট বা ফ্ল্যাটে যেসব ডেভেলপার কোম্পানি কাজ করেছে, আইন অনুযায়ী তাঁরা তাদের অংশ পাবে। তবে, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে স্বীকৃত ব্যক্তির নামে থাকা অংশ সরকার বাজেয়াপ্ত করবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যদি তাদের ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করে থাকে, তবে পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও রাজউকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, রাজউকের কাছ থেকে যিনি প্লট বা ফ্ল্যাট পাবেন, তাঁকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অর্থায়ন করবে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ‘রাষ্ট্রীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ’ জামাত আমির মতিউর রহমান নিজামীকে প্লট দেয় রাজউক। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে গত ১০ মে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বনানীর ১৮ নম্বর সড়কের ৬০ নম্বর প্লটটি ১৯৯৫ সালে আজিজুর রহিম নামের এক ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। ২০০৬ সালের ২১ মে রাজউকের বোর্ডসভায় তা বাতিল করে পাঁচ কাঠার ওই প্লট তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামীকে দেয়া হয়। এ নিয়ে আগের বরাদ্দগ্রহীতা পূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিবের কাছে অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আজিজুর রহিম ওই প্লটের বিপরীতে তিন লাখ টাকা কিস্তি পরিশোধ করার পরও তা নিজামীকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। নিজামী প্লটটি বরাদ্দ পাওয়ার পর জামাত নেতাদের পরিচালিত মিশন ডেভেলপার লিমিটেডের নামে আমমোক্তারনামা দেন, যা রাজউক অনুমোদিত নয়। বনানী ঝিলপাড়ে জে ব্লকের ১৮ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির নাম ‘মিশন নাহার’। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘মিশন’ আর নিজামীর স্ত্রী শামসুন নাহার নিজামীর নাম থেকে ভবনটির এ নাম।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ