ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে দারুলের শিক্ষার্থীরা
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, বন্ধ ঘোষণা করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসানের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করতে পারবে।
২৭ জুলাই (বুধবার) সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা ক্ষতিপূরণ চাইলে সরকার তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতে তারা অন্য জায়গায় পড়তে পারবে।
মালিকানা সঙ্কট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও ‘সনদ বাণিজ্যের’ অভিযোগে সোমবার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
এ ছাড়া হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসও বন্ধ ঘোষণা করেছে।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে অসংখ্য আউটার ক্যাম্পাস খুলেছে, নানা ধরনের সার্টিফিকেট ব্যবসা করছিল। আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তারা আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে কার্যক্রম চালিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধে হাইকোর্টের রায় অনুসরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, জরিমানা করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর কেউ চালু করতে পারবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যার যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতির সমস্ত দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। অর্থাৎ যে ছাত্রের লেখাপড়া মাঝপথে থেমে গেছে সে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করতে পারবে। সে টাকা নিয়ে অন্য জায়গায় পড়তে পারবে, সেজন্য আমরা সাহায্য করতে পারবো।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করবে। সে যদি ক্যাম্পাসই না জানে, ভিসিকে না চেনে, বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচিত না হয়, এভাবে একটা পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হলো না।
তিনি বলেন, পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আইন করা হয়েছে। তারা যে বেআইনি কাজ করেছেন, তার জন্য মনে করি, হাইকোর্টের রায় দূরদর্শী। এ জন্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানা