কার্যক্রম শুরু হল পায়রা বন্দরের
পটুয়াখালী প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। পাথরবাহী চীনা জাহাজ বহির্নোঙরের মধ্য দিয়ে এ বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটবে।
১ আগস্ট (সোমবার) প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড ৫৩ হাজার টন পণ্য (পাথর) নিয়ে রামনাবাদ চ্যানেলের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছাবে এবং ওইদিন লাইটারেজ অপারেশনাল কার্যক্রমের মাধ্যমে পন্য খালাস করা হবে। পাথরগুলো আমদানি করা হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য। এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে লাইটারেজ অপারেশনাল কার্যক্রম।
বন্দর কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, ৯ আগস্ট মদিনা গ্রুপের ২৪ হাজার টন পরিবহন ক্ষমতা পাম বিট নামের একটি জাহাজ পন্য খালাসের জন্য পায়রা বন্দরে ভীড়বে।
এ বন্দরটি চালুর মধ্য দিয়ে নিরাপদ বাল্কপণ্যাদি নদীপথে পরিবহনের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে।
আগামী ১৩ আগস্ট বন্দরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। তবে বন্দরের পূর্নাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে ২০১৮ সাল নাগাদ। তবে স্বল্প পরিসরে এ গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরোপুরি চালু হবে ২০১৮ সালে।
সূত্র জানায়, পায়রা বন্দরকে ঘিরে প্রকল্প এলাকায় টারমিনাল স্থাপন, সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম চালু, বিদ্যুৎ সংযোগ, প্রশাসনিক ভবননির্মাণ, নিরাপাদ পানির সরবরাহে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট স্থাপনসহ প্রযোজনীয় কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান বলেন, সোমবার পরীক্ষামূলক অনানুষ্ঠানিক এ বন্দরে পণ্য আসবে এবং নৌ-পথে তা খালাস হবে। অন্যান্য বন্দরে জাহাজ চলাচলে যেমন জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হয়, পায়রা বন্দরে ২৪ ঘন্টা জাহাজ চলাচলের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ইতোমধ্যে কাউয়ারচরে বাতিঘর স্থাপনের কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। বন্দর এলাকার জন্য প্রায় সাত হাজার একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চুড়ান্তের পথে। এ প্রকল্পের জন্য তিনশ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন- ২০১৩ পাস হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ নৌ চ্যানেলের পশ্চিমতীরে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এর অবস্থান। চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ আসতে পারলেও পায়রাতে ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য জাহাজ আসতে পারবে।