সংবিধান প্রশ্নে থাইল্যান্ডে চলছে গণভোট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ সামরিক সরকার মনোনীত কমিটির তৈরি করা নতুন সংবিধান মেনে নিয়েছে থাইল্যান্ডবাসী। প্রাথমিক ফলের ভিত্তিতে দেশটির নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ আগস্ট (রোববার) সেনা সরকারের তৈরি করা সংবিধান অনুমোদন করা না করার প্রশ্নে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
৮০ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নতুন সংবিধানের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে বলে ঘোষণা করেছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন পর্যন্ত যত ভোট গণনা হয়েছে, তাতে ৬২ শতাংশ ভোটার নতুন সংবিধানের পক্ষে এবং ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
গণভোটের ফল নতুন সংবিধানের পক্ষে যাওয়ায় ২০১৭ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম হয়েছে। যদিও ভবিষ্যৎ সরকারকে সামরিক বাহিনীর নির্দেশিত পথেই দেশ পরিচালনা করতে হতে পারে।
কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতা চলার পর ২০১৪ সালে থাই সামরিক বাহিনী রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মা্ধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। পুরনো সংবিধান বাতিল করে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকারের দাবি ছিল, গণভোটে নতুন সংবিধান অনুমোদিত হলে তা থাইল্যান্ডে পূর্ণ গণতন্ত্রে ফেরার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হবে।
যদিও গণভোট নিয়ে প্রচারণার উপর বিধিনিষেধ থাকায় ভোট পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে বলে অভিহিত করেছে সরকার বিরোধীরা।
গণভোটের আগেই দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নতুন সংবিধান প্রত্যাখ্যান করে।
গণভোট উপলক্ষে দেশজুড়ে দুই লাখ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো প্রতিবাদ বা গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।