জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে : আইনমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
জনগণের দাবি অনুযায়ী বিচার চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত মান বজায় রেখেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।”
মুজাহিদের রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এই রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক কথায় বলা যায় বিচারের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। বিচার চলাকালে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। সমস্ত কিছু বিবেচনায় নিয়েই বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছেন।
বুধবার মুক্তিযুদ্ধকালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে।একাত্তরে যারা মানবতাবিরাধী অপরাধ করেছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল, নারী নির্যাতন করেছিল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল, নিরীহ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তাদেরকেই এই বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন শফিক আহমেদ।
তিনি বলেন, অপরাধ যারা করবে তাদের বিচারের সম্মুখীন করাটা সরকারের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার এই বিচার করার জন্য বদ্ধপরিকর। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে।
“আশা করব অন্যান্য যারা বিচারের আওতায় আসছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের সাপেক্ষে এই বিচার হবে। নির্বাহী বিভাগ এই বিচারে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচার করছে।”
এই রায়ের পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ আছে বলেও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।
গোলাম আযমের রায়ের বিষয়ে আপিল করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রসিকিউশন টিম পদক্ষেপ নেবে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী সাধারণত এসব অপরাধীরা মার্জনা পায় না। এসব অপরাধে যারা দণ্ডিত হয়েছেন সব কিছু বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি তাদের মার্জনা করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
যে সরকারই আগামীতে ক্ষমতায় আসবে এই রায় কার্যকরের দায়িত্ব তাদের থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা তারা না করলে বুঝতে হবে তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যাদের সাজা হচ্ছে আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসুক ইচ্ছে করলেই কেউ তাদের ছেড়ে দিতে পারবে না।
এই সরকারের মেয়াদেই আপিল নিস্পত্তি করে কিছু রায় চূড়ান্তভাবে কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।