বেগম জিয়ার ১০ মামলায় জামিন
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: আজ নির্ধারিত ১২টি মামলার মধ্যে ৬টি বিচারের জন্য আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। এর মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া নাশকতার নয় মামলাসহ ১০ মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
১০ আগস্ট (বুধবার) বেলা পৌনে ১২টায় আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। এরপরই শুরু হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানি। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে এ শুনানি গ্রহণ করেন।
এছাড়াও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মলায় হাজিরা ও নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানিতে অংশ নেন তিনি।
বিচারক মামলাটি বিচারের জন্য আমলে গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য আগামি ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
মামলাটি আমলে গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে এর বিরোধিতা করা হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এরপরই দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮ মামলার জামিন ও পাঁচ মামলা আমলে গ্রহণ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া ৫ মামলা বিচারের জন্য আমলে গ্রহণ করেন তিনি। এ মামলাগুলোরও চার্জ শুনানির জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পিপি শাহ আলম তালুকদার ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন।
মহানগর দায়রা আদালতে ৯ মামলা শুনানির পর খালেদা জিয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা শেষে নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজির হয়ে চার্জ শুনানির জন্য সময়ের আবেদন জানান খালেদা। এর বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুনানি শেষে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় মঞ্জুর করেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আসামিপক্ষের চার্জ শুনানির জন্য আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সবশেষ দারুস সালাম থানার একটি মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন জানান খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
১২ মামলার শুনানিতে অংশ দিয়ে দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে আদালত এলাকা ত্যাগ করেন তিনি।
খালেদার ১২ মামলার শুনানিতে হাজির হওয়া উপলক্ষে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারাও আদালত থেকে আদালতে ঘুরেছেন, স্লোগান দিয়েছেন।