ডি এম সি’র ইন্টার্ন চিকিৎসক সহ আরও ৭ জন শনাক্ত
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ গুলশানে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম ও মারজান ছাড়া আরও ৮ জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা নেপথ্যে থেকে গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারী জঙ্গিদের সহযোগিতা করেছে। পুলিশের তদন্তে তাদের নাম বেরিয়ে আসছে।
র্যাব বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের নারী ব্রিগেডের উপদেষ্টাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন জামায়াত নিয়ন্ত্রিত মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তারা জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও নারী ব্রিগেড গড়ার কাজে ব্যস্ত ছিল। তাদেরকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গুলশান জঙ্গি হামলার মামলা তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারী আরও ৭ থেকে ৮ জঙ্গির সাংগঠনিক নাম জানা গেছে। তবে তাদের অবস্থান ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি, জানার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও চলছে। গ্রেফতার হলে এদের মধ্যে কে কিভাবে জঙ্গি হামলায় ভূমিকা রেখেছে তা বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি বলেন, শনাক্ত হওয়া এ ৭-৮ জনের সবাই দেশীয় জঙ্গি এবং এরা দেশের ভেতরেই আছে। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারী নিহত জঙ্গিরা ছাড়াও হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা, নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এর মধ্যে মারজান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তখন আমাদের ধারণা ছিলো এটি তার সাংগঠনিক নামও হতে পারে। আমাদের মূল উদ্দ্যেশ ছিলো মারজানকে গ্রেফতার করা। তাকে গ্রেফতার করার জন্যই আমরা কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। মারজান সম্পর্কে কিছু তথ্য আমাদের দরকার ছিলো সে তথ্য (যেমন তার পারিবারিক পরিচয়) আমরা পেয়ে গেছি। পাবনার মারজানের এলাকা থেকেও মারজান সম্পর্কে অনেক তথ্য এসেছে। মারজানের ছবি প্রকাশ করার পর তার পরিবারও ওই ছবি মারজানের বলেই চিহ্নিত করেছে। মারজান সম্পর্কে আরও জানার জন্য আমরা মারজানের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তার সম্পর্কে যটতুকু তথ্য জানা যায় তা তাকে যেমন গ্রেফতারের জন্য কাজে আসবে তেমনি তার কার্যক্রম সম্পর্কে আরও জানতে কাজে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান বলেন, পুলিশের তরফ থেকে গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের ছবি প্রকাশ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। মারজানের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রাম এলাকায় দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপে মানুষ তথ্য দিয়েছে। কিছু তথ্য যারা দিয়েছে তারা মোবাইল বা ইন্টারনেট সম্পর্কে জানে না তারা সরাসরি তথ্য দিয়েছে। সামপ্রতিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উঠে আসা তামিম চৌধুরী ও জিয়াউল হক গ্রেফতার আছেন কিনা জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় শুধু হাসনাত রেজা করিম গ্রেফতার আছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তামিম ও জিয়া কোথায় আছে তা জানা নেই। হাসনাত করিমের জড়িত থাকার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, হাসনাত করিমের পূর্ব ইতিহাস, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার জড়িত থাকা, ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি, তার কিছু ছবি দেখে এমনটা মনে হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলশান হামলার ঘটনায় মারজানের দায়িত্ব কী ছিল? এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, মারজানকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। হাসনাতের সাথে কথোপকথন ও হাসনাতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ডিভাইস সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। গুলশান হামলার ঘটনায় যেসব জঙ্গি মারা গেছে, তাদের সঙ্গে তামিমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কখন কিভাবে যোগাযোগ হয়েছে এবং কি যোগাযোগ হয়েছে প্রশ্ন করা হলে মনিরুল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ডিভাইসগুলো পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এখনও ফলাফল হাতে আসেনি। ফলাফল পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ও বর্তমানে?পুলিশের রিমান্ডে থাকা তাহমিদ খান সম্পর্কে মনিরুল বলেন, তার সম্পর্কে এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নারী জঙ্গি : অপরদিকে র্যাব-৪ সদস্যরা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ৪ নারী জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের মধ্যে দলনেতাসহ ৩ জন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
নারী জঙ্গিরা হলো মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ও দলনেতা আকলিমা বেগম সদস্য মৌ, মেঘলা এবং নারী সেলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ ডা. ঐশী।
গ্রেফতারকৃত এ নারী জঙ্গিরা জেএমবির অর্থের ফান্ড তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি জেএমবিতে নারীদের সম্পৃক্ত করার কাজ করতো। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ভিডিও বার্তা, জিহাদি বক্তব্যের রেকর্ড, প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত নথিপত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি লুৎফুল কবির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির বলেন, জেএমবির এ নারী জঙ্গিরা বিশেষ টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরেই এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে জিহাদি বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিজাত পরিবারের শিক্ষার্থী ও নারীদের দলে ভেড়ানোর জন্য কাজ শুরু করেছিলো। এদের মধ্যে দলনেতা ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকলিমা দলনেতা হিসেবে নির্দেশনা দিতো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশী মোটিভেশন করে নারীদের তাদের দলে আনতো। কয়েকদিন আগে গ্রেফতার জঙ্গি মাহমুদুল র্যাবের কাছে জনিয়েছে রাজধানীতে আকলিমার নেতৃত্বে জঙ্গি কার্যক্রম শুরু করেছে জেএমবির সমর্থক নারী সদস্যরা। তারা উম্মা তাওহিদ ও আনসার ইসলামিয়াসহ বিভিন্ন নামে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
র্যাব জানায়, গত ২১ জুলাই র্যাব জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে হাসানকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যে জানা যায়, জেএমবির ব্যানারে সংগঠিত জঙ্গি গ্রুপের নারী জঙ্গিদের একটি সেল রয়েছে। নারী সেলে তাদের নতুন কার্যক্রমে নারীদের একটি দল কাজ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিত্বে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৫ আগস্ট রাতে গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই নারী সেলের প্রধান আকলিমা বেগমকে নিজ বাসা হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় আকলিমা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে জঙ্গিবাদ ও জিহাদ সংক্রান্ত বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া যায়। আকলিমাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আকলিমা বিগত দেড় বছর ধরে জিহাদি দলটির সাথে সংশ্লিষ্ট। মাহমুদুল হাসান ওরফে তানভীরের হাত ধরে বাইয়াত গ্রহণের পর তার সংশ্লিষ্টতা আরও বেড়ে যায়। ইসলামী খেলাফত কায়েম করার উদ্দেশ্য দলকে বড় করা এবং ত্রাস সৃষ্টি করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইয়ানত সংগ্রহ করে মাহমুদুল হাসানের নিকট পেঁৗছে দিতো। আকলিমা রহামান গেলো রমজান মাসে ১২ হাজার টাকা ইয়ানত সংগ্রহ করে দেয় গ্রেফতারকৃত মাহমুদল হাসানকে। আকলিমা দেয়া তথ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশীকে মগবাজার এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে। এ সময় বাসাতে লুকিয়ে রাখা ল্যাপটপটি উদ্ধার করা হয় এবং ল্যাপটপ ও ব্যবহৃত মোবাইলে জিহাদি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং বিপুল পরিমাণ জিহাদি সংক্রান্ত ফাইল, ম্যাগাজিন, লেকচার ভিডিও প্রভৃতির সফট কপি পাওয়া যায়। মিরপুর-১, জনতা হাউজিংয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌ ও মেঘলাকে। গ্রেফতার অভিযানের সময় মৌ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে মেমোরি কার্ডর্ ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তীতে তার বাসায় ব্যাপক তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ পাওয়া যায় এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখা একটি ড্রাইভে সমস্ত জিহাদি কার্যক্রমের দলিল পাওয়া যায়। তার বাসায় তল্লাশি করে পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ জিহাদি চেতনামূলক বইও পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আকলিমা ২০১৩ সালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয় এবং বর্তমানে ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। এর আগে সে রেনেসাঁ প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলে ১৯৯৮ সালে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০০২ সালে ৩য় শ্রেণী পাস করে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে তারা সপরিবারে সাইনবোর্ড চলে গেলে হাজী আহাম্মদ আলী পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়ে ২০০৪ সালে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে। এরপর ২০০৫ সালে উত্তরা হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০১০ সালে জিপিএ ৪.১৯ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১০ সালে হলি সাইন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০১২ সালে জিপিএ ৪.৭০ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশী ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এমবিবিএস সম্পন্ন করে। গত জুন মাস থেকে একই প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নরত আছে। ঐশীর বাবার নাম ডা. বিশ্বাস আক্তার হোসেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে এবং তার মা ডা. নাসিমা সুলতানা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। সে ১৯৯৮ সালে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে। পরবর্তীতে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়।
মৌ ২০১৩ সালে মানারাত ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি বিষয়ে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হয়। বর্তমানে অনার্স শেষ বর্ষ ৭ম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছে। মৌ বিগত ৭ মাস ধরে জিহাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলা কিনডারগার্টেনে লেখাপড়া শুরু করে। সে ইসলামীয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (মিরপুর-২) চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০১০ সালে এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে পাস করে। এরপর ২০১২ সালে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত বিসিআইসি কলেজ হতে জিপিএ ৪.৬০ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। মেডিকেল ও ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য ইউসিসি (ফার্মগেট শাখা) কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়।
মেঘনা মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে (অনার্স) ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। ২০১৩ সালে মো. রোকনুজ্জামান তাকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করে। সে সুরিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে ২০০৪ সালে ৫ম শ্রেণী পাস করে। ২০০৬ সালে আহম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে জিপিএ ৪.৬৩ পেয়ে এসএসসি পাস করে। পরবর্তীতে ঢাকা ক্যামব্রিয়ান কলেজ হতে ২০১৩ সালে জিপিএ ৪.৭০ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আকলিমা মানারাত ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি আরবি অধ্যয়ন করতে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতো এবং সেখানে দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা করতো। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারিতে আকলিমার সন্দেহজনক কার্যক্রম চোখে পড়ে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন ধারায় জঙ্গিবাদে উৎসাহ প্রদান করে এবং বাইয়াত গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে করে আকলিমা। সে ১৪ আগস্ট মৌ এবং মেঘনার সাথে অবস্থান করে জিহদি বিষয় আলোচনা করেছে। আকলিমা ছাড়াও ইন্টার্ন চিকিৎসক ঐশীসহ আরও একজন ইয়ানতের ১২ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা প্রদান করেছে। ৩ বছর ধরে জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। নারী দলটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ ঐশী অথবা আকলিমা রহমানের নিকট হতে আসে।