স্তনের আকারের রকমফেরে হীনমন্যতা নয়
স্বাস্থ্য ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : আমি হয়ত নিজের ভাষায় বর্ণনা করছি। কিন্তু এটাই সত্য যে, সব নারীর স্তন সমানভাবে সৃষ্টি হয়নি। এক নারী থেকে অন্য নারী তো বটেই, এমনকি একজন নারীর দুই স্তনের আকারে পার্থক্য রয়েছে। এখানে স্তন বিষয়ে ধারণা তুলে ধরেছেন লেখক ও বিশেষজ্ঞ চার্লোটি বামেস। তার এই লেখনী স্তন সম্পর্কে নারীদের মৌলিক ধারণা দেবে।
তিনি লিখেছেন, প্রত্যেক নারীর স্তন প্রত্যেকের অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে। দেহের আকৃতি, ওজন ও বায়োলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে। যখন নিজেদের দেহকে ইতিবাচক হিসাবে নেওয়া হয় তখন ব্রেসিয়ার পরা অবস্থায় নারীর মনে চিন্তা আসে যে, এটা অন্যরকম কি হতে পারতো?
নারীরা প্রায়ই বিভিন্ন গবেষণাপত্র পড়তে থাকেন। তারা বুঝতে চান, কেন একই দেহের দুই স্তন সমান নয়। কিংবা দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এদের কেমন দেখানো উচিত। এসব চিন্ত দূর হয় যখন নারী ব্রা পরেন।
স্তনের আকৃতিকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের ব্রা বের হয়েছে। অধিকাংশ ব্রায়ের কাজ স্তনযুগলকে ওপরের দিকে কিংবা সামনের দিকে ধরে রাখা। কিন্তু এর মাধ্যমে স্তনের চেহারা বদলে ফেলা যায় না। আর তার দরকারই বা কি? এগুলো প্রত্যেক নারীর অনন্য বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে।
উন্নত স্তন : এখানে ব্রায়ের মাধ্যমে ওপরের দিকে তুলে রাখা স্তনের কথাই বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সুডৌল নয় এমন স্তনে সমস্যা কোথায়? এমন ধারণা প্রচলিত যে, ব্রেসিয়ারের ফিতা ঘাড়ে লাগিয়ে স্তন ওপরের দিকে তুলে রাখতে হয়। বর্তমানে বাজারে ২৬ ধরনের ব্রেসিয়ার মেলে! কাজেই কেবলমাত্র ওপরের দিকে তুলে ধরার ব্রেসিয়ার কেন? যার যেমন স্তন তা সেভাবেই রাখা ভালো।
গোলাকার স্তন : গোলাকার বা বর্তুলাকার স্তনকে সবচেয়ে সুন্দর বলে মনে করা হয়। তবে অতীতে সূচালো স্তনকেই বেশি সুন্দর বলে মনে করা হতো। সেই সময়ের ব্রায়ের অগ্রভাগ তাই ছিল সূচালো। এই ব্রায়ের আবারো উত্থান ঘটতে চলেছে। এ ধরনের ব্রায়ের মধ্যে স্তন এঁটে গিয়েও কিছু বাড়তি জায়গা থাকে। এতে অন্যান্য ছোটখাটো জিনিসপত্র দিব্যি ধরে যায়।
এ ধরনের ব্রাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করেন ম্যাডোনা। যারা তাদের স্তনের আকারে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন, তারা সাধারণত এই ব্রা ব্র্যবহার করেন।
কিন্তু ব্রেসিয়ার পছন্দের ক্ষেত্রে নারীর স্বাধীন থাকা উচিত। নারী তার স্তনের আকারের সঙ্গে খাপ খায় এমন ব্রা বেছে নিলেই ভালো।
ব্রা হতে হবে দামী, কেন? : এটাকে প্রচলিত ভুল ধারণা বলা যেতে পারে। অনেকে মনে করেন, স্তনযুগলের সর্বোচ্চ সৌন্দর্যের জন্য হাত খালি করে দাম দিতে হয়। এ কথার কোনো যৌক্তিকতা নেই। একটা ব্রা সস্তা দেখেই যে তা সুন্দরভাবে খাপ খাবে না তা ঠিক নয়। দামি ব্রেসিয়ারও বেখাপ্পা দেখাতে পারে।
ব্রেসিয়ারের সঙ্গে মিল রেখে প্যান্টি : ফ্যাশন দুনিয়া দেখায়, ব্রেসিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে প্যান্টি পরা উচিত। ব্রা-প্যান্টির সেটসহ বাজারে মেলে। আসল কথা হলো, তার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। অনেক কম দামে প্যান্টি পাওয়া যায়। এগুলো আরামদায়ক হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দৈহিক সৌন্দর্য প্রকাশে স্তন নিয়ে যত চিন্তাই আসুক না কেন, প্রত্যেক নারীর স্তন শেষ পর্যন্ত তারই অপরূপ সৌন্দর্য প্রকাশ করে। এ বিষয়ে প্রত্যেকের ইচিবাচক থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাসী ও গর্বিত থাকুন।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
আনুবাদ : কালের কণ্ঠ