সর্বোচ্চ গুরুত্বে রিশার হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে

আজমি আনোয়ার, বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা: পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৪)  হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

২৯ আগস্ট (সোমবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি ওবায়দুলের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

ডিসি মাসুদুর বলেন, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, হত্যাকারী ওবায়দুল হক ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ছিলেন। তিনি প্রায়ই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে রিশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতেন। ওইদিনও এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফুটওভার ব্রিজে রিশার সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ওবায়দুল পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে আহত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রিশা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রমনা থানায় রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেসবুকেও ঘটনাটি নিয়ে অনেকেই আহবান জানিয়েছেন ঘাতকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

সোয়েব পাটোয়ারি নামের একজন লিখেছেন এই ভাবেই, আমরা এই Facebook থেকে অনেক কিছুই করেছি। আমরা যেমন হাতিপুকে মডেল আর আলমকে আজ হিরো বানিয়েছি ঠিক তেমনি জুনায়েদকে ধরিয়ে দিয়েছি পুলিশের কাছে। গুলশান ট্রাজেডির অনেক গোপন বিষয় পাবলিক হয়েছে এই Facebook এর কল্যাণেই।

এখন আবার সময় এমন একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার। ফেসবুক এর শক্তি সবাইকে দেখিয়ে দেয়ার। রিশাকে নিয়ে Facebook এবার দেশ কাপিয়ে দেবে, বিচার হবে অপরাধীর এমন একটা কিছু দেখার অপেক্ষায় রইলাম…

প্রসঙ্গত,  মেয়েটা পড়তো ক্লাস ৮ এ। একবার সে ওর মায়ের সাথে দর্জির কাছে যায় ড্রেস দেওয়ার জন্য আর তখন ওর মা এর ফোন নাম্বার দিয়ে আসে।

এরপর থেকেই ওই দোকানের এক কর্মচারী ওর মায়ের ফোনে কল দিয়ে অনেক বিরক্ত করত। পরে ওরা ফোন নাম্বার চেঞ্জ করে আর ওই টেইলার্স এ অভিযোগ দেয়; যার ফলে লোকটার চাকরি চলে যায়।

তারপর থেকে লোকটা প্রায়ই স্কুলের সামনে এসে রিশাকে বিরক্ত করত। গত বুধবার স্কুল ছুটির পর রিশা ওভারব্রিজ পার করছিল, ওই সময়ই লোকটা ওকে ছুড়ি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মেয়েটার পেটের বাম সাইড এবং বাম হাত মারাত্মক ভাবে জখম হয়।

এরপরে ওকে ডিএমসি তে নেয়া হয়। প্রায় ২ দিন আইসিইউ তে থাকার পর মারা যায়। ওর অনেক ব্লিডিং হয়েছিল,২৫ ব্যাগের মত ব্লাড ও দেয়া হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ