১১৩টি প্রতিষ্ঠান পেলো জাতীয় রপ্তানি ট্রফি
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় করার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে ১১৩টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে ৫২টি স্বর্ণ, ৩৭টি রৌপ্য ও ২৪টি ব্রোঞ্জ ট্রফি রয়েছে।
২৮ আগস্ট (রোববার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে ট্রফি ও সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২-১৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য ও ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের জন্য ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য ও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানি আয়ে অবদান রাখায় পদক প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। নতুন নতুন রপ্তানির বাজার খোঁজার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করতে ক্ষমতায় আসিনি। আমরা ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কাজ করছি। তাদের ব্যবসার পরিবেশে তৈরি করে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য’।
২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ দুই অর্থবছরেই সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি স্বর্ণ পায় জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।
২০১২-১৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে স্বর্ণপদক পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, কামাল ইয়ার্ন, সাদ সান টেক্সটাইল, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, নোমান টেরিটাওয়েল, অ্যাপেক্স ফুডস, পপুলার জুট, আকিজ জুট, অ্যাপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, আল আজমী ট্রেড, প্রাণ ডেইরি, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, বিআরবি কেবলস্, মেরিন সেইফটি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, গ্রাফিক্স পিপল, ইউনিভার্সেল জিনস, শাশা ডেনিমস, মনট্রিমসে এবং মীর টেলিকম।
রৌপ্য পদক পেয়েছে অনন্ত অ্যাপারেলস, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল, ইউনিলারেন্স টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), রেজা জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার, লালমাই ফুটওয়্যার, মনসুর জেনারেল, প্রাণ এগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, বেঙ্গল প্লাস্টিক, সার্ভিস ইঞ্জিন এবং প্যাসিফিক জিনস।
ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে অ্যাপারেল গ্যালারি, ইন্টারস্টফ অ্যাপারেলস, মোশারফ কম্পোজিট, তালহা ফেব্রিকস, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, উত্তরা জুট, সাদাত জুট, বেঙ্গল লেদার, এবিসি ফুটওয়্যার, ফুটবেড ফুটওয়্যার, এলিন ফুডস, প্রাণ ফুডস, হেলাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, আরএফএল প্লাস্টিক এবং ইউনিগ্লোরি পেপারস অ্যান্ড প্যাকেজিং।
২০১১-১২ অর্থবছরে স্বর্ণপদক পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, নোমান উইভিং, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস, অ্যাপেক্স ফুডস, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, আকিজ জুট, অ্যাপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, এগ্রি কনসার্ন, প্রাণ এক্সপোর্টস, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, ইউনিগ্লোরি সাইকেল, তানভীর পলিমার, বেক্সিমকো ফার্মা, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিনস, শাশা ডেনিমস এবং মনট্রিমস।
রৌপ্যপদক পেয়েছে অনন্ত অ্যাপারেলস, জিএমএস কম্পোজিট, মোশারফ কম্পোজিট, এনভয় টেক্সটাইল, সি-মার্ক (বিডি), এফআর জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ এগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, এভারব্রাইট প্লাস্টিক, ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, আল-হাবিব এন্টারপ্রাইজ, গ্রাফিক পিপল এবং জিনস-২০০০।
ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে সিনহা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফোর এইচ ফ্যাশনস, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুলিয়ারচর সি ফুডস, রেজা জুট, করিম জুট, আল-আজমী ট্রেড এবং প্রাণ ফুডস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা।