ঢাবিতে ‘গ ইউনিটে ভর্তি’ পরীক্ষার প্রস্তুতি
১. ইংরেজিটাই বড় চ্যালেঞ্জ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আসলে সব বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে গ ইউনিটের পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাস করা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই প্রতিদিন যা-ই পড়ি না কেন, ইংরেজিটা চর্চার মধ্যে থাকতেই হবে।
২. ইংরেজি বই, চলচ্চিত্র: প্রতিদিন কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ইংরেজি চর্চা করতে হবে। পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলে ইংরেজি বই পড়তে পারো, ইংরেজি সিনেমা দেখতে পারো কিংবা ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাসও করা যেতে পারে। এতে যেমন পড়ার একঘেয়েমি কিছুটা কাটবে, তেমনি পরীক্ষার প্রস্তুতিও হবে।
৩. অল্প পড়া, প্রতিদিন পড়া: যে বিষয়গুলো কঠিন মনে হয়, সেগুলো একবারে অনেকখানি না পড়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়তে পারো। প্রতিদিন নতুন কয়েকটা ইংরেজি শব্দ শিখতে পারো। যাদের ইংরেজি ‘প্রিপোজিশন’ নিয়ে দুর্বলতা আছে, প্রতিদিন একটু একটু করে শিখতে পারো।
৪. দৈনিক অনুশীলন: ইংরেজি ব্যাকরণ, প্যাসেজ বা এই ধরনের বিষয়গুলো ভালো নম্বর নিভর্র করে একজন পরীক্ষার্থীর দৈনিক অনুশীলনের ওপর। পড়ার সময় নম্বরের কথা ভুলে গিয়ে শেখার ইচ্ছা নিয়ে পড়তে হবে। লক্ষ্যটা হবে-আমি ইংরেজির খুঁটিনাটি জানব, বুঝব।
৫. বাংলার জন্য করণীয়: বাংলায় ভালো প্রস্তুতির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা প্রথম পত্র বই এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের মুনীর চৌধুরীর লেখা ব্যাকরণ বইটা খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
৬. মৌলিক ধারণা পরিষ্কার হতে হবে: হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স, মার্কেটিং-যার যে বিষয় উচ্চমাধ্যমিকে ছিল, সেই বিষয়গুলোর সম্পর্কে মৌলিক ধারণা খুব পরিষ্কার থাকতে হবে। সে জন্য বাজারের যেকোনো ভালো বই অনুসরণ করলেই উপকার পাবে।
৭. পত্রিকা পড়তে হবে: সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন আসে ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজমেন্ট) পরীক্ষায়। তাই এ বিষয়ে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে, সে সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।
৮.হিসাববিজ্ঞানে ‘থিওরি’ও গুরুত্বপূর্ণ: হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষায় মূল থিওরি থেকে সাধারণত প্রায় ১৬-১৭টা প্রশ্ন আসে। তাই ধারণামূলক বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের সময় পড়া থিওরিগুলো বারবার পড়লেই কাজে আসবে।
৯. ইংরেজি উত্তরও জানতে হবে: ফিন্যান্স পড়ার সময় অনেক শিক্ষার্থী বাংলায় প্রশ্নগুলো পড়েন ও পরীক্ষার সময় ইংরেজিতে ‘অপশন’ দেওয়া থাকলে দ্বিধায় পড়ে যান। তাই ফিন্যান্সের মডেল টেস্টগুলো দেওয়ার সময় একটি প্রশ্নের ইংরেজি উত্তর কী হবে, তা-ও জেনে নিতে হবে।