আমেরিকা, বাংলাদেশের পর ভারতের পাশে দাঁড়াল রাশিয়া:
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের ‘জোড়া ফলা’য় বিদ্ধ হল পাকিস্তান। আমেরিকার পর এ বার রাশিয়াও কিছুটা ‘ধমক’ দিল পাকিস্তানকে।
কাশ্মীর নিয়ে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এ বার দৃশ্যতই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তার নিজের ভূখণ্ডে জঙ্গি দমনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলল রাশিয়া। একই সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে মতবিরোধটাকে লাগাতার গুলিযুদ্ধের পর্যায়ে ধরে না রেখে রাশিয়া তা আলোচনার টেবিলে বসেই ভারত ও পাকিস্তানকে মেটাতে বলল। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নিয়ন্ত্রণরেখায় সাম্প্রতিক যে সব বাড়াবাড়ি হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। আমাদের আশা, এই সব অবিলম্বে বন্ধ করতে নিজেদের ভূখণ্ডে জঙ্গি দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। আর কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মধ্যেই মিটিয়ে নেবে ভারত ও পাকিস্তান।’’
ও দিকে, উরি হামলার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আমেরিকার অসন্তোষের পাত্র হল পাকিস্তান। ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র পর নিজেদের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে গত দু’সপ্তাহে পাক মন্ত্রী যে ভাবে বারদু’য়েক বাগাড়ম্বর করেছেন, পরোক্ষে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন, তা মোটেই পছন্দ হয়নি মার্কিন প্রশাসনের। পাক মন্ত্রীর ওই হুমকিকে আমেরিকার ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘উদ্বেগজনক’ মনে হয়েছে। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমাদের আপত্তি, অসন্তোষের কথা বার বার স্পষ্ট করে পাকিস্তানকে বলে দিয়েছি।’’ তবে আমেরিকার ওই আপত্তি, অসন্তোষের কথা পাক প্রশাসনের কোন স্তরে জানানো হয়েছে, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাটি তা খোলসা করেননি। এর আগে, উরি হামলার পরপরই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস টেলিফোন করে ইসলামাবাদকে জঙ্গি দমনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
উরি হামলার পর গত দু’সপ্তাহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ দু’বার পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হুমকি দিয়েছেন। সে সম্পর্কে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্তাটি বলেন, ‘‘এটা খুবই গুরুতর বিষয়। খুবই উদ্বেগের বিষয়। এটা নিয়ে ওবামা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা হয়েছে, হচ্ছে। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র-ভাঁড়ারের ওপর আমরা কড়া নজর রেখে চলেছি। তা উপমহাদেশের পক্ষে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সেই সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
ভারত ও পাকিস্তান, কারও নাম না করে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের উপ মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, ‘‘যে দেশগুলি পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী, ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে সেই দেশগুলির সংযত আচরণই সকলের কাম্য।’’
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা