ভারতের পাশে থাকবে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা: ভারত আমাদের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ভারতের পাশে থাকবে বাংলাদেশ বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ।
০৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইস্যুতে সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা কলেন।
বিএসআরএফ-এর সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের প্রশাঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলন, তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। তারা যদি বাংলাদেশের আইন-কানুন মেনে সাধারণ নাগরিকের মতো জীবনযাপন করে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কেন অবিচার করবো বলেও মন্তব্য করেছেন।
তবে তারা যদি বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন-কানুন ভঙ্গ করে তাদের অভিভাবকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি সিলেটে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে বলে আশ্বাস দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তা কোনওদিন ভুলবো না। তাই ভারত যদি কারও দ্বারা আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকাবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমানা নেই। পাকিস্তানকে আমরা ‘৭১ সালে পরাজিত করে তাড়িয়ে দিয়েছি। তাই তাদেরকে নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না। তাদের নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথাও নেই।
তাছাড়া দেশটি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছে। যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিচার বাংলাদেশের নিজস্ব আইনেই হয়েছে।
এ বিষয়ে দেশটির আচরণে আমরা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ কারণে আমরা সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেইনি।
তিনি বলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গেই কাজ করবে। ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের পাকা কথা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারত থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত আসামিদের ফেরত আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে আমাদের। সে চুক্তি অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে।