২০১৮ তেই বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য হবে ১০ বিলিয়ন ডলার
প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : ‘আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অশুল্ক ও আধা শুল্ক প্রতিবন্ধকতা দূর হলে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।’
৯ অক্টোবর (রোববার) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সার্ক এক্সপার্ট গ্রুপ অন অ্যাক্রেডিটেশনের পঞ্চম সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য ও সেবার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী এ সভা হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে অভিন্ন মান ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি অ্যাক্রেডিটেশন ও পরীক্ষণ সনদের পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত অঞ্চলে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল বাজার থাকলেও পণ্যের গুণগতমান ও মান অবকাঠামোর দুর্বলতার কারণে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অশুল্ক ও আধা শুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে সার্কভুক্ত অঞ্চলে ব্যবসার ব্যয় বাড়ছে। ফলে এ অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ দেশগুলোর মোট রপ্তানি বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, সার্ক অঞ্চলে আঞ্চলিক মান চুক্তির বাস্তবায়ন এবং পরীক্ষণ সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতির মাধ্যমে এ বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিশ্ববাণিজ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে বাংলাদেশ কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। খুব শিগগিরই কোয়ালিটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।
পণ্য ও সেবার গুণগতমান সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে বিএবি ইতিমধ্যে ৪০টি স্থানীয় ও বহুজাতিক টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন গবেষণাগার, একটি মেডিক্যাল গবেষণাগার, দুটি সার্টিফিকেশন সংস্থা এবং একটি ইন্সপেকশন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক এল সাবিত্রী, জার্মানির মান সংস্থা পিটিবির প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান স্টেঞ্জ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এ সভায় বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মান বিশেষজ্ঞ ছাড়াও জার্মানি এবং দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক মান সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন মান প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মান অবকাঠামোর উন্নয়ন, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা অপসারণসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সার্ক অঞ্চলের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়।