৩১ অক্টোবর বেগম জিয়ার নাইকো মামলার আপিল শুনানি
সাইফুর রহমান, প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারকার্যক্রম চলার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিপরীতে লিভ টু আপিল আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
০৯ অক্টোবর (রোববার) এ দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আগামী ৩১ অক্টোবর ওই আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে। খালেদা জিয়ার এক আবেদনের পরিপ্রেেিত আপিল বিভাগএ দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
গত বছরের ১৮ জুন নাইকো মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গত বছর ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়া। এই লিভ টু আপিল শুনানির জন্য গতকাল চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলি ও রাগীব রউফ চৌধুরী। এ সময় দুদকের পে উপস্থিত ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
এ বিষয়ে রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিলের বিষয়ে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আদালত দিন ধার্য করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নাইকো দুর্নীতি মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও এ মামলা চলতে পারে না। এ ছাড়া এ মামলায় রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধন করে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন এমন কোনো অভিযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তখন তিনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়েছিলেন, যা দুর্নীতির সংজ্ঞায় পড়ে না। সংবিধানের ৫৫ ও ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক আদেশ বা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ নেই। এসব কারণে মামলাটি অবৈধ ও বেআইনি।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সাথে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেেিত ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন হাইকোর্ট।