মহাসড়ক ফেরিঘাট চাঁদাবাজদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
বিশেষ প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : আরিচা ও মাওয়া ফেরিঘাটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ন চার জেলার সড়ক-মহাসড়কের ‘চাঁদাবাজদের’ তালিকা এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সাংসদ রাজনীতিক পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। সময় বেধে দিয়ে তাদের সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সংশোধন না হলে এ্যাকশনে নামবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেরিঘাটে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত কমিটির একটি সূত্র জানায়, দেশের গুরুত্বপূর্ন আরিচা ও মাওয়া ফেরিঘাটসহ মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মাদারিপুর ও রাজবাড়ী সড়ক-মহাসড়কের চাঁদাবাজি মুক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর এই নির্দেশনার পাওয়ার পর চাঁদাবাজদের তালিকা করতে মাঠে নামে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্ত শেষে দেশের চার জেলার সড়ক-মহাসড়ক ও ফেরিঘাট চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরী করে গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।
সূত্র আরো জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভাও করেছে ‘ফেরিঘাটে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত কমিটি’। এই বৈঠকের বরাত দিয়ে সূত্রটি জানায়, চাঁদাবাজদের শেষবারের মত সময় বেধে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ১ মাসের এই বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে তারা সংশোধন না হলে এ্যাকশনে নামনো হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
কমিটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার জমা দেয়া তালিকায় ফেরিঘাট ও চার জেলার চাঁদাবাজ হিসেবে যাদের না এসেছে, তাদের প্রায় সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কয়েকজন সংসদ সদস্যেরও নাম রয়েছে এই তালিকায়। বাদ পড়েনি পুলিশ ও সাংবাদিক। তালিকায় তাদেরও নাম এসেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ বিষয়ে এবিসিনিউজবিডিকে বলেন, ‘দেশের ফেরিঘাট ও চার জেলার সড়ক-মহাসড়কে যারা চাঁদাবাজি করে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ১ মাসের সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা সংশোধন না হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এবিসিনিউজবিডিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকার কোন চাঁদাবাজ-মাস্তানের কাছে জিম্মি নয়। সে যেই হোক, যে দলেরই হোক, কোন ছাড় দেয়া হবে না।’