বোমা মেরে হত্যার দায়ে জেএমবি আরিফের মৃত্যুদন্ড কার্যকর
নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকাঃ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দশ বছর আগে ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যার দায়ে এ রায় কার্যকর করা হয়।
২০০৫ সালের ওই ঘটনায় তাকে নিয়ে জেএমবির সাতজনের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হল, যার মধ্যে দলটির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইও রয়েছেন।
১৬ অক্টোবর (রোববার) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে আরিফের ফাঁসি কার্যকর হয় বলে জেল সুপার কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
আরিফের লাশ রাতেই তার শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠির জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে বিচারকদের বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ নিহত হন।
এই হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে আরিফসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ।
সাতজনের মধ্যে ছয়জনের রায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ কার্যকর হয়। তাদের মধ্যে শায়খ রহমান ও বাংলাভাই ছাড়া অন্যরা হলেন ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক, শায়খ রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি ও জামাতা আবদুল আউয়াল।
আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন। গত ২৮ অগাস্ট আপিলের রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
আইনি সব প্রক্রিয় সম্পন্ন করে রোববার তাকে ফাঁসিকাষ্ঠে নেওয়া হয় বলে জানান কারা কর্মকর্তা কামরুল।
তিনি বলেন, “স্ত্রী খাদিজা খাতুনের অনুরোধে আরিফের লাশ মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে পাঠানো হয়।”
জঙ্গি আরিফ বরগুনার সদর উপজেলার ইসলামপুরের বান্দরগাছি গ্রামের হাবিবুর রহমনের ছেলে।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ডিআইজি (প্রিজন্স) টিপু সুলতান, খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) সুলতান আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুর ই আলম, সিভিল সার্জন এ এম এম আব্দুর রাজ্জাক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, র্যাব-৬ এর কর্মকর্তা এএসপি মিজানুর রহমান কারা অভ্যন্তরে ছিলেন।
এই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের সময় কারাফটকসহ আশপাশের এলাকায় ছিল কঠোর নিরাপত্তা।