মার্কিন ভোটযুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে দুই প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটযুদ্ধে কে জেতে কে হারে সেটা দেখার দিন। চার বছরের জন্য দেশ পাবে নতুন মুখ। জনতার রায় ও ইলেকটোরাল কলেজ ভোট—এই দুইয়ের সমীকরণই ঠিক করে দেবে, কে পাচ্ছেন হোয়াইট হাউসের চাবি, হিলারি না ট্রাম্প?

আজ সকালে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা) শুরু হবে এ ভোটযুদ্ধ। ফল জানা যাবে কাল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দুই ধরনের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অর্থাৎ দেশের আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের সব কটি আসনে ভোট হচ্ছে।

এ ছাড়া ১২ অঙ্গরাজ্যে গভর্নর নির্বাচনও হচ্ছে। মূল দুই প্রার্থীর বাইরে আরো কয়েকজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকলেও তাঁরা বরাবরের মতোই এবারও আড়ালেই পড়ে আছেন। সব প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর সঙ্গেই তাঁদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নামও রয়েছে ব্যালটে। হিলারির ভাইস প্রেসিডেন্ট (রানিংমেট) টিম কেইন এবং ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট (রানিংমেট) মাইক পেন্স।

দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার মূল দৌড়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতীয়ভাবে পরিচালিত সর্বশেষ জনমত জরিপগুলো বলছে, ট্রাম্পের চেয়ে কয়েক পয়েন্ট এগিয়ে আছেন হিলারি। তবে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে দুজনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে।

ভোটের দুই দিন আগে হিলারিকে বড় ধরনের এক সুসংবাদ দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। যে ই-মেইল বিতর্কের তদন্তকে ঘিরে নির্বাচনের শেষ দিকে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলেন হিলারি, সেই ই-মেইলগুলোর মধ্যে অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। রবিবার মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন এফবিআইপ্রধান জেমস কোমি।

কোমির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এফবিআইয়ের প্রশংসা করছে হিলারি শিবির। বিষয়টি নিয়ে হিলারি নিজে কিছু না বললেও তাঁর জনসংযোগ পরিচালক জেনিফার পালমিয়েরি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।’ হিলারির প্রচার শিবির বলেছে, হিলারি যে এ বিতর্ক থেকে অব্যাহতি পাবেন, সে ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল। এ ইস্যুর সুরাহা হওয়ায় তারা খুশি। বিষয়টি নিয়ে যেসব ভোটার দ্বিধান্বিত ছিল, তারাও এখন নিঃসংকোচে হিলারিকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে বলে মনে করছে তাঁর প্রচার শিবির। যেন নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে এই নাটকীয় ঘটনায় তাঁর প্রচার শিবিরের ওপর ছায়া ফেলা মেঘ কেটে গেছে।

অন্যদিকে এফবিআইয়ের এ সিদ্ধান্তে বেশ চটেছেন ট্রাম্প ও তাঁর নির্বাচনী শিবির। এফবিআইয়ের সমালোচনা করে মিশিগানের ডেট্রয়েটে এক প্রচার সভায় ট্রাম্প বলেন, মাত্র আট দিনে কথিত ছয় লাখ ৫০ হাজার ই-মেইল পরীক্ষা করা এফবিআইয়ের পক্ষে অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘কারচুপির একটি পদ্ধতিতেই তাঁকে (হিলারি) এখন রক্ষা করা হচ্ছে। পুরো পদ্ধতিটাই কারচুপিতে ভরা। আমি অনেক দিন ধরেই এ কথা বলে আসছি। হিলারি যে দোষী, তা তিনি নিজেও জানেন। এফবিআই তা জানে, জনগণও জানে। এখন ৮ নভেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে ন্যায়বিচার করার বিষয়টি আমেরিকার জনগণের ওপর নির্ভর করছে।’ ট্রাম্পের উপদেষ্টা নেট গিংগ্রিচ এক টুইটে বলেছেন, ‘কোমি নিশ্চয়ই রাজনৈতিক অনেক চাপের কারণে এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।’

হিলারির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় (২০০৯-১৩) হিলারি সরকারি সার্ভারের পরিবর্তে ব্যক্তিগত সার্ভারে অনেক ই-মেইল চালাচালি করেছেন, যার বেশির ভাগই পরে তিনি মুছে ফেলেছেন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর গত জুলাইয়ে প্রথম দফা তদন্ত শেষে এফবিআইপ্রধান বলেছিলেন, হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় নিজের ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে স্পর্শকাতর জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রে অসতর্ক থাকলেও তিনি কোনো অপরাধ করেননি।

কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে এফবিআইপ্রধান জানান, হিলারির এক সহকর্মীর ল্যাপটপে বেশ কিছু স্পর্শকাতর ই-মেইলের খোঁজ পাওয়া গেছে, যেগুলোর সঙ্গে আগের ই-মেইল বিতর্কের সম্পর্ক থাকতে পারে। নতুন আবিষ্কৃত এসব ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় কোনো গোপনীয় তথ্য আছে কি না তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কোমির ওই ঘোষণার পরই হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ের সব হিসাব বদলে যেতে শুরু করে। এর ফলে জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারির চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প লড়াইয়ে টিকে থাকার নতুন রসদ হাতে পান। ই-মেইল বিতর্কের এই ইস্যুতে হঠাৎ করেই যেন সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে, বিপরীতে জনসমর্থন বাড়তে থাকে ধনকুবের ট্রাম্পের।

এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা এফবিআইয়ের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছিল। তারা বলতে শুরু করেছিল, ভোটের আগে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়ে এফবিআইপ্রধান আইন (হ্যাচ অ্যাক্ট) ভেঙেছেন। যে আইনে নির্বাচনে প্রভাব ফেলে এমন কোনো কর্মকাণ্ড না করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষেধ করা আছে। এ ঘটনায় এফবিআইয়ের উদ্দেশ্য নিয়েও ডেমোক্র্যাটরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এফবিআইয়ের সমালোচনা করে বলেছিলেন, অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে এই সময়ে এ ধরনের তদন্ত শুরু করা ঠিক হয়নি। অন্যদিকে এফবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিল রিপাবলিকানরা। ট্রাম্প নিজে বিভিন্ন প্রচার সভায় এফবিআইয়ের সাহসের প্রশংসা করে বলেছেন, ই-মেইল কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাবেন হিলারি, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে, তাঁকে জেলে যেতে হবে।

ই-মেইল তদন্তের নাটকীয় সমাপ্তি টেনে রবিবার কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে যেন নতুন বোমা ফাটালেন এফবিআইপ্রধান কোমি। তিনি বলেন, ‘অসম্পর্কিত একটি অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে একটি ল্যাপটপ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ই-মেইল গোছানোর পর তা মূল্যায়নের জন্য এফবিআই তদন্তদল নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছে। এই প্রক্রিয়া চলাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ক্লিনটনের আদান-প্রদান করা সব ই-মেইল আমরা খুঁটিয়ে দেখেছি।’ কোমি বলেন, ‘আমাদের পর্যালোচনার পর, সেক্রেটারি ক্লিনটনের বিষয়ে জুলাইয়ে আমরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম, তার পরিবর্তন হয়নি।’

নির্বাচনী পদ্ধতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ (নির্বাচকমণ্ডলী) ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি ভোট পেতে হয়। অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারণ করা হয় ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা। যে প্রার্থী যে অঙ্গরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ পপুলার ভোট পাবেন, তিনিই সে রাজ্যের সব কটি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪ অঙ্গরাজ্যের মধ্যে অধিকাংশের রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি আছে, এসব অঙ্গরাজ্যে সাধারণত যে দলের প্রভাব বেশি সেই দলের প্রার্থীই বিজয়ী হন। যেমন টেক্সাসকে রিপাবলিকান প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য ধরা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় রিপাবলিকান প্রার্থী টেক্সাসে প্রচারণা চালিয়ে তাঁর অর্থের অপচয় করেন না, তিনি এখানে জিতবেন বলেই ধরে নেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়াকে ডেমোক্র্যাট প্রভাবিত অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখানে এ দলটির প্রার্থীই জিতবেন বলে ধরে নেওয়া হয়। এ ধরনের অঙ্গরাজ্যগুলো ছাড়াও দেশটির আরো কয়েকটি অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে কোনো দলেরই সুস্পষ্ট প্রাধান্য নেই, এসব অঙ্গরাজ্যকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা প্রচলিত কথায় ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা যে প্রার্থীর দিকে ঝুঁকে পড়েন, সেই প্রার্থীই নির্বাচনে জয়ী হন বা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয় বেশি।

এবার বিবিসির জরিপে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য ১৩টি। এগুলো হলো অ্যারিজোনা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, মিশিগান, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন। রবিবারের সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুযায়ী এসব রাজ্যের সাতটিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ও ছয়টিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি এগিয়ে আছেন। ট্রাম্প এগিয়ে আছেন অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, আইওয়া, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ওহাইওতে। অন্যদিকে হিলারি এগিয়ে আছেন কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিনে।

তবে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে সংখ্যার হিসাবে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও হিলারির এগিয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোটার সংখ্যা বেশি, তাই এসব রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যাও বেশি। রবিবারের এ চিত্র আজ ভোটের দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে এবং দুই প্রার্থী দেশজুড়ে যে যে অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন, সেখানে বিজয়ী হলে হিলারি ক্লিনটনই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি।

নির্বাচনী দৌড়ের শুরু থেকে দুই প্রার্থীই ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে একে অন্যকে ঘায়েলের চেষ্টা করে গেছেন। অভিবাসী ও মুসলিমদের নিয়ে বেফাঁস কিছু মন্তব্যের জন্য ট্রাম্প ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন দেশে-বিদেশে। এ ছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য, একের পর এক যৌন হয়রানি ও কর ফাঁকির অভিযোগ এবং প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতার অভাবের বিষয়গুলো ভোটারদের সামনে ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন হিলারি। বিপরীতে হিলারির বিরুদ্ধে ই-মেইল কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ও জঙ্গি সংগঠন আইএসকে সহায়তাসহ বেশ কিছু অভিযোগ ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন ট্রাম্প। কোনো কোনো জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারই দুই প্রার্থী প্রায় সমান ‘অজনপ্রিয়’ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। নির্বাচনের দিন আজ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোটের ব্যবস্থা রয়েছে। ডাকযোগে এবং বিশেষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা আগেই ভোট দিতে পারেন। দেশের প্রায় ২২ কোটি ভোটারের মধ্যে এবার প্রায় চার কোটির মতো ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। জরিপ বলছে, শ্বেতাঙ্গদের ভোট বেশি পাবেন ট্রাম্প, আর কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অভিবাসীদের ভোট বেশি পাবেন হিলারি। আজ নির্বাচনে সাইবার হামলা ও জঙ্গি সংগঠন আইএসের হামলার হুমকি রয়েছে।

সর্বশেষ পাঁচটি জরিপের গড় করে রিয়াল ক্লিয়ার পলিটিকস বলছে, ট্রাম্পের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন হিলারি। এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপ মতে, হিলারি ৪ পয়েন্ট এগিয়ে; হিলারি ৪৭ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৩ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। সিএনএন ও ওআরসির জরিপ মতে, হিলারি ৫ পয়েন্ট এগিয়ে; হিলারি ৪৯ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৪ শতাংশ। বিবিসির জরিপে হিলারি ৪ পয়েন্ট এগিয়ে; হিলারি ৪৭ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৩ শতাংশ। আইডিবি ও টিআইপিপির জরিপ মতে, হিলারি ৪৩ ও ট্রাম্প ৪২ শতাংশ; সিবিএস নিউজের জরিপে হিলারি ৪৭ শতাশ ও ট্রাম্প ৪৩ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছেন।

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ