পানি নিরাপত্তাই মঙ্গলময় জীবনের নিশ্চয়তাঃ প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : পানি নিরাপত্তাই এ পৃথিবীর মানুষের মর্যাদার্পূণ ও মঙ্গলময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে’। সেই লক্ষ্য র্অজনে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, আর তা এই মুর্হূত থেকেই। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৮ নভেম্বর (সোমবার) হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত বৈশ্বিক উদ্যোগ চান প্রধানমন্ত্রী । শুধু তাই নয় এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মানসম্মত স্যানিটেশন, পানি ও বিশুদ্ধতার অভাবে প্রতি বছর প্রায় পৌনে সাত লাখ মানুষের প্রাণহানি এবং অনেক দেশের জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বে ২৪০ কোটি মানুষ উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার বাইরে রয়েছে এবং অন্তত ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
পানিকে সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশের ভারসাম্যের মৌল ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করে এই সম্মেলনের আয়োজন করায় হাঙ্গেরি সরকারকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দর্শন, সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে পানি। আর এমন এক দেশ এই পানি সম্মেলনের আয়োজন করেছে, সেই হাঙ্গেরি পানি নিরাপত্তার জন্য বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৩ সালের বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনই পানি নিয়ে এসডিজির ধারণাগত ভিত্তি দিয়েছে।
বাংলাদেশে নিরাপদ পানির জন্য এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে পূরণ এবং ৬৫ শতাংশ মানুষের জন্য উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি এবং মোট জনসংখ্যার অন্তত ৯০ শতাংশের জন্য উন্নত পয়াঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর’।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বাংলাদেশের সতর্কতা ব্যবস্থা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও সমুদ্র উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উদ্যোগ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।