বরিশালের কাছে হেরে বিপদে রাজশাহী
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ম্যাচটা রাজশাহী কিংসের জন্য ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচ ১৭ রানে হেরে গিয়ে বিপদে পড়ে গেল তারা। টানা ৬ হারের পর বিপিএলে জয়ে ফিরল মুশফিকুর রহীমের বরিশাল। কিন্তু তাদের শেষ চারে থেকে প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা প্রায় শূণ্যের কোঠায়। তবে তাদের কাছে হেরে রাজশাহীর প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা এখন শঙ্কায় রূপ নিল।
১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০ থাকলো। রংপুর রাইডার্সের ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ বাকি। চতুর্থ স্থানের জন্য রংপুরের সাথে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ল রাজশাহী।
শেষ ম্যাচে তো জিততেই হবে কিংসদের সেই সাথে প্রার্থনা করতে হবে অন্তত রংপুর রাইডার্স যেন দুটি ম্যাচেই হারে। কেবল রংপুরই নয় খুলনা ও চিটাগাংয়ের হারও কামনা করতে হবে সাব্বিরদের। আজ বরিশালের কাছে ১৭ রানে হেরে গেছে রাজশাহী কিংস। প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান করে মুশফিকরা। জবাবে জয় থেকে ১৭ রান দূরে থাকতেই শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে উঠে এল বরিশাল। ১০ ম্যাচে সাত হার নিয়ে আবার টেবিলের সর্বনিম্নে নেমে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মমিনুল-সোহানে বিষ্ফোরক সূচনা করে রাজশাহী। ১৪ বলে ২৭ রান তুলে নেন এই দুই ওপেনার। তবে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মনিরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নুরুল হাসান সোহান। ৬ বলে দুটি চারে ১২ রান করেন এই উইকেটরকবষক ব্যাটসম্যান।
এরপর মাত্র ৮ রান করে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। এমরিতের বলে ডেভিড মালানকে ক্যাচ দেন তিনি। দলের রান তখন ৩৬। দলীয় ৫৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় কিংসরা। এনামুলের বলে তাকেই ক্যাচ দেন মুমিনুল হক। ১৬ বলে ১৬ রান করেন রাজশাহীর এই ওপেনার।
১১তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রকিবুল হাসান। মাত্র ৯ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। ৬৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে রাজশাহী তখন বেশ বিপদে।
গত ম্যাচের নায়ক জেমস ফ্রাঙ্কলিনের সাথে জুটি বাধেন সামিত প্যাটেল। এই জুটিতে আসে ৩৬ রান। দলীয় ১১২ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে থিসারা পেরেরাকে ক্যাচ দেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। ১৮ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
অপরপ্রান্তে অবশ্য দারুণ খেলছিলেন সামিত প্যাটেল। তবে ১৩৪ রানে ব্যক্তিগত ৬২ রানে রায়ান এমরিতে বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে রাজশাহীর জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করে বৃহস্পতিবার দিনের একমাত্র ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ১৬২ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বুলসরা। দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ফরহাদ রেজাকে ক্যাচ দেন জীবন মেন্ডিস।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭১ বলে ১০০ রান যোগ করে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন ডেভিড মালান ও ফজলে মাহমুদ। ১৪তম ওভারে ৩৩ বলে ৬ চার ও তিনটি ছয়ে ৫৬ রান করে বিদায় নেন মালান। নাজমুল ইসলাম অপুর দারুণ থ্রোয়ের শিকার হন তিনি।
একই ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। ফরহাদ রেজার বলে ৪৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ফজলে। এরপর ৩৬ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও থিসারা পেরেরা। ১৯তম ওভারে দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ৮ রান করা মুশফিক।
শেষ ওভারে দুটি ছয় মেরে স্কোরটাকে ১৬১ রানে নিয়ে যান শাহরিয়ার নাফিস। ২২ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন পেরেরা। আর মাত্র ৬ বলে ১৬ রান করেন নাফিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১৬১/৪ (ডেভিড মালান ৫৬, ফজলে মাহমুদ ৪৩, পেরেরা ২৯; সামি ১/১৬, ফরহাদ ১/৩২, মিরাজ ১/৩৪)
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৪৭/৭ (সামিত প্যাটেল ৬২, ফ্রাঙ্কলিন ১৮, মমিনুল ১৬, সোহান ১২; এমরিত ৩/২৭ , এনামুল ১/৬, মনির ১/১৭)
ফল: বরিশাল বুলস ১৭ রানে জয়ী।