আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর হামলা

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, খুলনা: খুলনায় আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী অজয় সরকার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অজয়ের দাবি, এ সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিয়ে তাঁর পেটে আঘাত করা হয়।

আজ শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

অজয় সরকারের অভিযোগ, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন।

অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কামরুজ্জামান জামাল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং তিনি (অজয়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করছেন। এরপর দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে গালিগালাজ করছে বলে আমি শুনেছি।’ অজয় সরকার নিজেই গুলি ছুড়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

অজয় সরকার বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে খবর পাই, আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হচ্ছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ কমিশনারকে জানাই। তিনি আশ্বস্ত করার পর দুইটার আগেই আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাই। সেখানে জেলা প্রশাসককেও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জানাই। আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর পুলিশের নিরাপত্তায় নিচে নামছিলাম। এ সময় জামালের নেতৃত্বে হারুনুর রশীদের অনুসারীরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে চরম মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। একপর্যায়ে গাড়িতে ওঠার সময় পেছন থেকে তাঁরা হামলা চালান। তাঁরা আমাকে একাধিকবার কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘিরে রাখায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি; একটি কোপ পেটের বাম পাশে লেগেছে।’ প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানালেও কোথায় আছেন তা জানাতে চাননি অজয়।

অজয় সরকার বলেন, ‘হামলার পর দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার সময় আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলি দুটি গাড়ির পেছনে লাগে। এ সময় আমার চালক দ্রুত আমাকে নিরাপদে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে।’

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বেলা তিনটার দিকে বলেন, আজ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। সকাল থেকে কিছুটা উত্তেজনাও ছিল। বাছাইয়ের সময় উপস্থিত হয়ে অজয় সরকার তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নের কথা জানান। পরিবেশ অন্যরকম দেখে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ আনতে বলা হয়। সেই মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর প্রার্থী নিজের ইচ্ছাতেই নিচে নেমে যান। পরের ঘটনা আর কিছু শোনা হয়নি।

হামলা ও দুটি গুলি ছাড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ