সরকার জনগণের পালস বোঝে না : ফখরুল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরা জনগণের ‘পালস’ ও চোখের চাহনি বোঝে না।
আজ রোববার বিকেলে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ আহ্বান জানান। সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ নামের একটি সংগঠন ‘রোহিঙ্গা সংকট : রাষ্ট্র নাকি মানবতা’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী। কিন্তু অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমার ওপরে চাপ সৃষ্টি হলে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হলে অবশ্যই এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেননি, আশ্রয় দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সীমান্তে এক ব্রিগেড সেনা মোতায়েন করেছিলেন।
১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্যাতন ও সেই প্রেক্ষাপটে ভারতে শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন যারা জোর করে ক্ষমতায়, তারা অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই তারা কোমর সোজা করে বাংলাদেশের চেহারা নিয়ে দাঁড়াতে পারছে না। কারণ, এদের পায়ের নিচে মাটি নেই। এরা জনগণের ‘পালস’, চোখের চাহনি বোঝে না।
মিয়ানমারের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। এখানে যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেন, তাঁদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে।
মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবদিন ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শুধু প্রস্তাব দিয়েছেন। সরকারের উচিত সে প্রস্তাবে ভুল ও দুর্বলতা থাকলে সেটা বলা। এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব থাকলে তারা সেটি বলতে পারে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টি তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।