নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো জরিপ হয়নি। এ বিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার জন্য আগত রোগীদের মধ্যে নারী মাদকাসক্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।
সাংসদ নজরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আটক হওয়া চোরাকারবারি ও গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হচ্ছে। জলপথের চোরাকারবারি ও গডফাদারদেরও চিহ্নিত করতে কোস্টগার্ডের জন্য পৃথক গোয়েন্দা সংস্থার প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের অপব্যবহার রোধকল্পে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত সারা দেশে ৩২ হাজার ৩১টি স্কুল ও কলেজের মধ্যে ২১ হাজার ৮৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর মঞ্জুরি করা জনবল ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩। বর্তমানে নারী পুলিশের হার ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশের কামার, কুমোর, জেলে, বেদেসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৮ জন।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে গত ৯ আগস্ট একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২০ সালে।
প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল চারটায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।