বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন তিন চাঁদাবাজ নিহত
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, তাঁরা চরমপন্থী। তাঁরা ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করতেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের মহিবুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের তাজমুল (২৫) ও পার্শ্ববর্তী ভোলাডাঙ্গা গ্রামের তুহিন (২৮)।
মেহেরপুরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের ভাষ্য, এক সপ্তাহ ধরে গাংনী এলাকায় বেশ কয়েকটি ইটভাটায় চরমপন্থীর নামে চাঁদাবাজির হুমকি দিচ্ছিলেন একটি সংগঠনের সদস্যরা। রাতে তাঁরা ইটভাটায় গিয়ে একটি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করে চাঁদা দিতে বলেন। ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করেন তাঁরা। পুলিশকে এ ঘটনা জানানো হয়। পুলিশ চাঁদা না দেওয়ার কথা বলে। এতে চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হন।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চরমপন্থীরা ইটভাটায় যাবে বলে তথ্য পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। টের পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এর কিছুক্ষণ পরে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। লাশ গাংনী থানায় রাখা হয়েছে।
একতা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ইটভাটার মালিক খবিরউদ্দিনের ভাষ্য, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন চরমপন্থী ইটভাটায় গিয়ে চাঁদা দাবি করে। তারা দুজন শ্রমিককে মারধর করে। এরপর চিরকুটে একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে চলে যায়। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চাঁদা দিতে বলে। এরপরই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
ইটভাটার নাম প্রকাশ না করে দুজন শ্রমিকের দেওয়া ভাষ্য, রাতে তাঁরা ইটভাটার ওপরেই টংঘরে ছিলেন। ভোর সোয়া চারটার দিকে তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পান। বাইরে গিয়ে দেখেন, চিৎকার হচ্ছে। ভয়ে গ্রামের ভেতরে লুকিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।