শাকিলের মরদেহের ভিসেরা সংগ্রহ
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যু বিষক্রিয়াজনিত কি না, তা জানতে ভিসেরা পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার পর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ কথা বলেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তে শাকিলের হৃদপিণ্ড স্বাভাবিকের তুলনা বড় অবস্থায় দেখা গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য ডা. সোহেল মাহমুদকে প্রধান করে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য হলেন হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিউজ্জামান খায়ের ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, মাহবুবুল হক শাকিলের রক্ত, মূত্র ও ভিসেরা নমুনা পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে, তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তাঁর হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষক্রিয়াজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাহবুবুল হক শাকিলের মৃতদেহ বারডেম থেকে সকাল আটটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। আটটা ৫০ মিনিটে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। তাঁর মরদেহ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর জানাজা হবে। ময়মনসিংহের বাগমারায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁ থেকে শাকিলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, কেউ তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
মাহবুবুল হক শাকিল ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বাবা আইনজীবী জহিরুল হক খোকা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সাবেক এই ছাত্রনেতা সাহিত্য অনুরাগী ও লেখক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো হলো ‘খেরোখাতার পাতা থেকে’ ও ‘মন খারাপের গাড়ী’।