সালমান শাহ মৃত্যুর রহস্যের তদন্ত চলবে
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: এবার চলচ্চিত্র অভিনেতা সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন বলেন, সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষ ডিবির প্রতিবেদন গ্রহণ না করলে তদন্ত সিআইডির কাছে যায়। সিআইডিও একই প্রতিবেদন দেয়।
পরে আদালতের আদেশে ১৫ বছর ধরে চলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত। ২০১৪ সালের ৯ জুলাই বিচার বিভাগীয় তদন্তে বলা হয়, সালমান খুন হননি।
এই আদেশের বিরুদ্ধে নারাজি দেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। এর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি র্যাবকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। কিন্তু ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা মহানগরের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। শুনানি শেষে গত ২৫ আগস্ট র্যাবকে তদন্ত করার সিএমএমের আদেশ বাতিল করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালত। একই সঙ্গে আদালত বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমানের মায়ের নারাজি আবেদন পুনঃশুনানি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দেন।
সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর আইনজীবী মাহফুজ মিয়া বলেন, ‘ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত সালমান শাহ হত্যা মামলাটি তদন্ত করে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ওই আদেশের কপি পেয়েছি। আদেশে আদালত বলেছেন, সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনার মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। উচ্চ আদালতও একই মত পোষণ করেছেন।’
তবে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, সালমান শাহ হত্যা মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার ব্যাপারে আদালতের আদেশ দেওয়ার বিষয়টি তিনি এখনো জানেন না। তবে খোঁজখবর নেবেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর সালমানের বাবার বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন রিজভী আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকার ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রিজভী। তাতে তিনি বলেন, সালমান আত্মহত্যা করেননি। সালমানকে খুন করা হয়েছে। কেন, কী কারণে, কীভাবে ও কারা সালমানকে হত্যা করেছে, তা সবিস্তারে জবানবন্দিতে বলেছেন রিজভী। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সালমানের বাবার বাসায় ঢোকার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত রিজভীকে ২০০১ সালে দেড় বছর কারাদণ্ড দেন। রিজভী গ্রেপ্তারের পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে আরও জানা যায়, ‘সালমান খুন হয়েছে’ বলে রিজভীর দেওয়া জবানবন্দি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সালমানের মা নীলা চৌধুরী, ক্যান্টনমেন্ট থানার তৎকালীন ওসি শাহাবুদ্দিন, এসআই বদরুল আলম তালুকদার ও এসআই কাইয়ুম চৌধুরী রিজভীকে নির্যাতন ও প্রলোভন দিয়ে জবানবন্দি আদায় করেছেন।’