হাই হিল পরা ও শাড়ি না পরার কারণ……..
বিনোদন ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: খেলার মাঠে আমব্রিনের সাজ পোশাক নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাঁর পোশাক নিয়ে হয়েছে সমালোচনা। অনেকের বক্তব্য, কেন পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরতে হবে? শাড়ি পরলে ক্ষতি কী। আর কেনইবা হাইহিল পরতে হবে? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর উপস্থাপিকা আমব্রিনকে নিয়ে এসব কথা চলতে থাকে খেলার সময়। বিপিএল শেষ। হাইহিল পরা আর শাড়ি না পরার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আমব্রিন।
২০০৭ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় সেরা দশে থাকা আমব্রিন বছর খানেক আগে ক্রিকেট খেলার উপস্থাপনায় আসেন। এবারের বিপিএল উপস্থাপনা তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি এনে দিয়েছে বলে জানান আমব্রিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও নাকি অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও তাঁকে শাড়ি পরে ক্রিকেট অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন শাড়ি পরছি না? আমি সত্যিই শাড়ি পরতে চেয়েছি, কিন্তু তা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আমি যে কাজটা করেছি সেটা খুবই কষ্টসাধ্য। এ কাজে শাড়ির চেয়ে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকই বেশি কমফোর্টেবল।’
আমব্রিন বলেন, ‘আমি স্টুডিওতে বসে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করিনি। যে কাজ করি, সেসবের জন্য আমাকে পুরো মাঠ দৌড়াতে হয়েছে। দর্শকের সঙ্গে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। তিন ওভার পর পর হাইহিল পরে মাঠে যেতে হতো। শাড়ি ও হাইহিল পরে এভাবে বারবার মাঠে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য হতো। এটা ধরে রাখাটা সত্যিই মুশকিল। আমার কাজ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। তবে আমি সবাইকে বলতে চাই, আমি অন্য যে সব অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি, সেখানে কিন্তু শাড়িই পরি। আমি শাড়ি পরতেই ভালোবাসি। এ নিয়ে তোমরা মন খারাপ করবে না প্লিজ।’
হাই হিল পরার কারণেও নাকি আমব্রিনকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কেউ বলেছেন, কী দরকার ছিল। আমব্রিন বলেন, ‘ড্যারেন সামি বা তাসকিনের মতো উচ্চতার খেলোয়াড়ের সাক্ষাৎকার যদি নিতে হয় তাহলে ফ্ল্যাট জুতা পরলে কি চলবে? সো, হোয়াই নট হাই হিল?’
আমব্রিন জানান, লম্বা সময় ধরে তাঁকে ক্রিকেট খেলার উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। পরিবারকে সেভাবে সময় দেওয়া হয়নি। তাই বিপিএল শেষে এখন তিনি মাসখানেকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেবেন। ফিরে এসে আবার মন দেবেন কাজে।